এ সংবর্ধনা বাংলার মানুষের প্রাপ্য : শেখ হাসিনা

Hasinaপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করায় আমাকে যে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে এর প্রাপ্য কেবল আমার নয়, বাংলার মানুষের। তারা আমাকে বারবার সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ সরকারের সাফল্যের জন্য নাগরিক কমিটি সরকারপ্রধানকে এ সংবর্ধনা দেয়। সংগঠনের সভাপতি কবি ও লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞানপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা ধূলিস্মাৎ করে বাঙালিকে পরাজিত করতে চেয়েছিল তারা। আমি সেই মর্যাদা ফেরাতে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বাবা মন প্রাণ দিয়ে বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষকে ভালোবেসেছিলেন। তার দেখানো পথে আমি দেশ গঠনে নেমে পড়ি।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করি। এরপর ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠন করি। দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করি। আমি বাংলার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই এ সংবর্ধনা আমার প্রাপ্য নয়, এ সংবর্ধনা বাংলার মানুষের প্রাপ্য।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বটমলেস বাস্কেট নয়। ঝুড়ি এখন উন্নয়নে ভরপুর। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করি, তখনই বলি আমাদের একটি মাত্র শত্রু তা হচ্ছে দারিদ্র্য। আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। কিন্তু সেটি বড় কথা নয়, আমাদের আরো অনেক পথ বাকি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরের নেতৃস্থানীয়রা সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাদ্যসহকারে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। বিকেলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনাস্থলে আসতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য লেখক-শিল্পী-সাহিত্যিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃস্থানীয় নিয়ে ২০০ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button