হজ্বযাত্রীদের সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
২০১৫ সালের হজ্বযাত্রীদের নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্সিগুলো। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইহরামের কাপড় পড়ে মানববন্ধন করে এ দাবি জানিয়েছে তারা। প্রায় ২০০ হজ্ব এজেন্সির মালিক ও বঞ্চিত হজ্বযাত্রীগণ এই মানববন্ধনে শরীক হন। মানববন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত হজ্ব এজেন্সিসমূহের আহ্বায়ক মাওলানা ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা শফিক উদ্দিন, মুফতি নাছির উদ্দিন খান, জনাব মেছবাহুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, ২০১৫ সালের মত হজ্ব নিয়ে বিগত কোন বৎসর এত জটিলতা দেখা দেয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে রাজকীয় সৌদী সরকারের নিকট থেকে বাংলাদেশ পুরস্কার লাভ করেছে। যদি এ বৎসর হজ্বযাত্রীগণ হজ্বে যেতে না পারেন তাহলে অতীতের সমস্ত সফলতা ম্লান হয়ে যাবে। তাই বক্তাগণ এই সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। বক্তাগণ আরো বলেন, আমরা মনে করি এই বৎসর হজ্বযাত্রী অতিরিক্ত হওয়ার কারণ নেই। হতে পারে হজ্বযাত্রীদের জায়গায় ভুয়া নাম এন্ট্রি করে প্রকৃত হজ্ব যাত্রীদের হজ্ব গমন থেকে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বক্তাগণ বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করেন। এন্ট্রিকৃত সকল পাসপোর্ট স্বচ্ছ ও শক্তিশালী কমিটি দ্বারা পুনরায় চেক করতে হবে। সৌদী সরকারের পক্ষ থেকে কোটা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চেষ্টা করতে হবে। অথবা প্রত্যেক এজেন্সি থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সংখ্যা কমিয়ে বাদ পড়া এজেন্সিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাদের বয়স ৪০ বছরের এর নিচে এবং যাদের সাথে বৈধ মাহরাম নেই তাদেরকে এ বছর হজ্ব থেকে বিরত রাখা এবং ৫ বছরের মধ্যে যারা হজ্ব করেছেন যাদের সাথে বৈধ মাহরাম নেই তাদেরকে বিরত রাখা।
বক্তাগণ সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, যদি সরকার আগামী ৪ তারিখের ভিতরে সংকট সমাধান করে হজ্বযাত্রীদের হজ্বে যাওয়ার ব্যবস্থা না করেন তবে আগামী ৪ঠা জুন রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত হজ্ব এজেন্সির মালিক এবং বঞ্চিত হজ্বযাত্রীদের নিয়ে ইহরামের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূিচ পালন করা হবে।