এফবিসিসিআই’র নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ
দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে (এফবিসিসিআই) ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার করেছেন সংগঠনটির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। একই সঙ্গে ব্যাংক ঋণে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার সব চেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের (২০১৫-১৭) দায়িত্ব গ্রহণের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নতুন প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, হেলাল উদ্দিনসহ পরিচালকবৃন্দ।
মাতলুব আহমাদ বলেন, ব্যবসাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিতে কোনো কার্পণ্য করা হবে না। এখন সময় এসেছে কাজ করার। এখন কাজ করেই যোগ্যতার প্রমাণ করতে হবে। এই কাজের প্রথমটাই হবে ব্যাংক ঋণে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে অর্থাৎ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা। কারণ ব্যবসায়ীরা এতো বেশি সুদ দিয়ে ব্যবসা করতে পারছে না। যদি সম্ভব হয় তবে তিন মাসের মধ্যেই এই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা ৬৪টি জেলায় অন্তত ৩ জন করে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে চাই। কারণ বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যবসাই গড়ে ওঠেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। এই গন্ডি থেকে ব্যবসাকে বের করে আনতে চাই।
একই সঙ্গে সহনশীল শুল্ক করের ব্যবস্থা করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে যে কর ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। সে কারণে অনেক ব্যবসায়ী কর ফাঁকির আওতায় পড়ে যান। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে এনবিআরকে প্রস্তাব দেয়া হবে।
মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ হলো আগামী ব্যবসার পরবর্তী গন্তব্যস্থল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সফরে প্রায় ৩৫টি কোম্পানি বাংলাদেশে আসছে যাদের বিনিয়োগ হবে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। আমরা চাই উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। আর ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করে সেই কাজটি করাই হবে নতুন পর্ষদের অন্যতম লক্ষ্য।
এর আগে বিদায়ী সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ নতুন পর্ষদকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা যা করতে পারিনি, আশা করছি নতুন পর্ষদ তা করতে পারবে। এ সময় তিনি পর্ষদের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। এজন্য আমরা তাদের সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি। এই চেম্বার কারো একার নয়, আমাদের সবার। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে যে-কোন সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এখন সময় এসেছে কাজের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার।