আইনি লড়াইয়ে মার্কিন মুসলিম নারীর জয়
হিজাব নিয়ে আইনি লড়াইতে জয়ী হয়েছেন এক মার্কিন মুসলিম নারী। ধর্মীয় কারণে হিজাবে মাথা ঢাকা ছিল বলে চাকরি দেয়া হয়নি এক মুসলিম মহিলাকে। পরে তার পক্ষেই গেছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়। সেদেশের নাগরিক অধিকার রক্ষা আইনে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা আচরণের কারণে কোনো ব্যক্তিকে চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা অনৈতিক এবং অবৈধ। সেই আইনি ধারাটিকেই ফের ঊর্ধে তুলে ধরল আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালত।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রায় দিল সেদেশের কোনো মুসলিম নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত রাখার পক্ষে। এর আগে জানুয়ারিতে আরকানসাসের এক মুসলিম কারাবন্দী আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, নিজের ধর্মবিশ্বাস অনুসারে তিনি দাড়ি রাখতে চান, কিন্তু জেলবন্দীদের ধর্মাচরণের অধিকার সংক্রান্ত চলতি প্রাদেশিক আইন অনুযায়ী তাকে সেই অনুমতি দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ। সেবারও মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তিমানুষের অধিকারকেই আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল।
এবারও সামাম্হা এলাউফ নামে ওই মহিলার ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটল। ২০০৮ সালে, যখন সামাম্হার ১৭ বছর বয়স, আমেরিকার বিখ্যাত পোশাক সংস্হা ‘অ্যাবরক্রম্বি অ্যান্ড ফিচ’-এর ওকলাহামার এক শাখা বিপণিতে বাচ্চাদের জামা-কাপড়ের বিভাগে সেলস্ গার্লের কাজের ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু সামাম্হার মাথা হিজাবে ঢাকা ছিল এবং তিনি জানিয়েছিলেন যে ওভাবে মাথা ঢেকেই তিনি কাজ করতে চান, চাকরিটা তাকে দেয়া হয়নি।
আমেরিকায় সবার জন্য সমান চাকরির সুযোগ সুরক্ষিত রাখার যে কমিশন আছে, সেখানে গিয়ে নালিশ করেছিলেন সামাম্হা। তার হয়ে ওই কমিশনই মামলা দায়ের করেছিল। বিচারের দায়িত্বে থাকা ন’জন জুরির মধ্যে আটজনই ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত রাখার পক্ষে সায় দিয়েছেন।