মানবপাচার ক্যাম্পে গণধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গা নারীরা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মানবপাচার ক্যাম্পে থাকা মুসলিম রোহিঙ্গা নারীরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। পাচারকারীরাই তাদের ধর্ষণ করছে।
ধর্ষণের শিকার অন্তত দুইজনের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামা। এক প্রতিবেদনে তারা থাইল্যান্ডের পাদাং বেসার ক্যাম্প থেকে জীবন ফিরে আসা নুর খাইদা আবদুল শুকুর (২৪) নামের এক নারীর উদ্ধৃতি তুলে ধরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি রাতেই গার্ডরা ক্যাম্পের কাছাকাছি কোথাও নারীদের নিয়ে যেতো। ক্যাম্প থেকে এসব নারীদের আর্তচিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনা যেত। কেউ কেউ ক্যাম্পে ফিরতেন দুই বা তিনদিন পর। কিন্তু অন্যরা কেউ তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করতো না। কারণ তাদের চেহারা দেখেই সবাই সব বুঝতে পারতো।
নুর খাইদা আবদুল শুকুর জানান, প্রতিরাতে গার্ডরা দুই কিংবা তিনজন সুন্দরী রোহিঙ্গা নারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতো। সেখানে তাদের গণধর্ষণ করা হতো। এতে করে দুই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
প্রতিবেদনে নুর খাইদা’র স্বামী নূরুল আমিন নবী হোসেনের উদ্ধৃতিও তুলে ধরা হয়। মালয়েশিয়া সীমান্তের বন্দিশিবিরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে জানান নবী হোসেইন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মে মাসে প্রথমে থাইল্যান্ড এবং পরে মালয়েশিয়ায় বেশকিছু মানবপাচার ক্যাম্প ও পাচারকারীদের হাতে নিহতদের গণকবরের সন্ধান মেলে।