উন্নয়ন ও পরিবর্তন অব্যাহত রাখতে চাই : রাবিনা খান

মেয়র প্রার্থী রাবিনা খানের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা

Rabina Khanটাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে ১১ জুনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ইন্ডিপেন্ডেন্ট নির্বাহী মেয়র প্রার্থী রাবিনা খান বেশকিছু পলিসি এবং প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। তিনি বিভিন্ন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে তার নির্বাচনী ম্যানিফেস্টু বা অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।
স্থানীয় জাগোনারী সেন্টারে ২ জুন মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাকে ভোট দেয়ার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন এবং ৮টি বিভাগে তার কর্মসূচী ঘোষনা করে বলেন, এই বারার সকল কমিউনিটির মেয়র হতে আমি সবার সমর্থন চাই।
তিনি বলেন, একজন কর্মজীবি মা (ওয়ার্কিং মাম) হিসেবে, লেখক ও ক্যাম্পেইনার হিসেবে এবং সর্বপরি ৫ বছরের হাউজিং ক্যাবিনেট মেম্বার হিসেবে আমি আমার কাজের প্রমাণ রেখেছি। মাত্র ৩ বছর বয়সে এদেশে এসেছি এবং ২০ বছর যাবত টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাস করছি, আমি গভীরভাবে জানি আসলে মানুষের চাহিদা কী, আশা আকাংখা কী। আমি বিশেষ করে হাউজিং ক্রাইসেস কমিয়ে আনা এবং বেনিফিট কাটের কারনে অসহায় বা বিপদে পড়া মানুষের জন্য শক্তভাবে দাড়াতে চাই। মানুষের কাছে পিপুলস কোয়েশন টাইম কর্মসূচীর মাধ্যমে নিয়মিত জবাবদিহী হতে চাই।
কাউন্সিলার রাবিনা খান বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোর্টের রায়ে লুতফুর রহমানের মেয়র পদ বাতিল হয়ে গেছে। এটা বড় হতাশা এবং দুঃখের বিষয়। এ জন্য আমার এই মুুহুর্তে কোনো আকাংখা না থাকার পরও মেয়র পদে দাড়াতে হয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি ২০১৪ সালে যে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন, তারা জানেন তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা কোনো ভুল করেননি, এবার আবারো তারা এর প্রমাণ দেবেন, আমাকে ভোট দিয়ে তারা সেই উন্নয়ন এবং পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রাখবেন। প্রমাণ করবেন তারা সঠিক ছিলেন এবং সঠিক থাকবেন।
রাবিনা খান বলেন, লুতফুর রহমানের ভালো কাজ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে তিনি যদি তার সহযোগি হিসেবে বিবেচিত হন, তাতে তার কোনো দুঃখ নেই, বরং তিনি গর্বিত। তিনি বলেন, তবে আমি কিছু ব্যতিক্রম এবং আরো ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করবো যা আমার প্রতিশ্রুতিতে তুলে ধরেছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবং রাবিনা খানের ম্যানুফেস্টুকে সময় উপযোগী এবং জনমুখী হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তৃতা করেন সাবেক নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবি এবং জাজ পিটার হারবার, ফান্ডিং কাটের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার মানুষের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী পিপুল এসেম্বলি লিডার সাংবাদিক জন রিস, লেবার পার্টির সদ্য স্থগিতকৃত নির্বাহী সদস্য খ্রিস্টিন শোক্রফট, সাবেক চেলসি ফুটবলার মিকি আমব্রো, সেইভ আওয়ার সার্জারী কমিটি চেয়ার মেগি ফুইলসো ও ডা: আনা লিভিং স্টন এবং ডিপুটি মেয়র কাউন্সিলার ওলিউর রহমান। ম্যানিফেস্টু ঘোষাণা অনুষ্ঠানে লেবার পার্টির প্রবীণ একটিভিস্ট সাবেক বারা চেয়ার লিল কলিন্স, কমিউনিটি নেতা ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, আবু তাহের চৌধুরী, জিএসসি নেতা নুরুল ইসলাম মাহবুব হোয়াটচ্যাপল ব্যবসায়ী সমিতি নেতা আফাজ মিয়া, ফারুক আহমদ, আফজল সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার অংশ নেন।
তারা বলেন, সাবেক মেয়র লুতফুরের নেতৃত্বে রাবিনা তা তার কাজের প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি যা বলেন তা করেন। আমরা বিশ্বাস করি তিনি আগামীতেও সব কমিউনিটির জন্য কাজ করবেন। কথা রাখবেন।
রাবিনা খান বলেন, শুধু অতীতের সফলতা নিয়ে কথা বলতে চাই না। আবার বর্তমান সংকট বা সমসায়িক বিতর্কেও যুক্ত হতে চাইনা। একটি নতুন স্বপ্ন এবং আশা নিয়ে সামনের দিকে সবাইকে নিয়ে এগোতে চাই। সবাই যদি আমার পূর্নাঙ্গ মেনোফ্যাস্টো দেখেন, পড়েন তবে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন, আমি কী কী কর্মসূচী নিয়ে আসছি। একই সাথে আশা করি সবাই আমার কাজের রেকর্ড দেখবেন। আমার উল্লেখযোগ্য ২০টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হলো:
১) ৫৫০০ হাউজ নির্মাণ ২) টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসকে কাউন্সিলে ফিরিয়ে আনা ৩) হোয়াইটচ্যাপলে টাউন হল নির্মাণ ও ভিশন বাস্তবায়ন ৪) কম খরচে কবরস্থানের কার্যকর বাস্তবায়ন ৫) ২০ হাজার চাকরী ও ১৪ হাজার ট্রেনিং এ সহযোগিতা ৬) ১০০০ পার্কিং স্পেইস প্রতিষ্ঠা ৭) কাউন্সিল ট্যাক্স না বাড়িয়ে ফ্রিজ রাখা ৮) নিয়মিত পিপুলস কোয়েশন টাইম আয়োজন ৯) জনগণের কাছে জবাবদিহীতা ১০) স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য ৪০% কন্ট্রাক্ট ১১) প্রাইমারী স্কুলের শিশুদের জন্য ফ্রি স্কুল মিল অব্যাহত ১২) এডুকেশন এলাউন্স (এমইএ) এবং ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট অব্যাহত ১৩) মোবাইল পুলিশ স্টেশন প্রতিষ্ঠা ১৪) আরো বেশী জিপি সার্জারী ১৫) শিশুদের জন্য সুবিধা সহ মহিলাদের চাকুরী হাব ১৬) বেথনালগ্রিনে নতুন আইডিয়া স্টোর স্থাপন, ১৬) বয়স্কদের জন্য ফ্রি হোম কেয়ার ১৭) সকল সেক্টরের সাফল্য উদযাপনে মেয়র কমিউনিটি এওয়ার্ড চালু ১৮) পপলার বাথ লেজার এবং স্টেপনিতে নয়া ইয়ুথ সেন্টার চালু ১৯) টাওয়ার হ্যামলেটস কার্ড চালু করে জনগনের অর্থ সাশ্রয় ২০) নজরুল সেন্টারে বিনিয়োগ করে সক্রিয়তা আনা এবং বারার জন্য কালাচারাল স্ট্রাটেজি গ্রহণ।
রাবিন খান বলেন, আমি অবশ্যই তরুণ। তার পরও আমার কাজের বেশ কিছু রেকর্ড বা প্রমাণ আছে। একজন ক্যাবিনেট সদস্য হিসেবে এবং ক্যাম্পেইনার এবং কাউন্সিলার হিসেবে আমি তার সফলতার কিছু চিত্র তুলে ধরছি।
১) ৩ বছর সোস্যাল হাউজ নির্মানে বৃটেনের সেরা। গত টার্মে প্রায় প্রায় ৪ হাজার ঘর নির্মাণ এবং ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড নিউহোম বোনাস পুরস্কার লাভ। ২) বেডরুম ট্যাক্সে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ক্যাম্পেইন। ৩) প্রথম টার্মে ৫০০ হোম ভিজিট এবং ৩৬০০ পাবলিক ইনকোয়ারি (জন সমস্যা সমাধানে) নিয়ে কাজ। ৪) ১ হাজার ওভারক্রাউড পরিবারকে রিহাউজ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা এবং পপলার হাউজিং জোন প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব। ৫) ডিসেইবিলিটি সুবিধার জন্য ক্যাম্পেইন। ৬) বেনিফিট কাটের কারনে বিপদে পড়া পরিবারগুলোর জন্য ২ মিলিয়ন পাউন্ড-এর প্রিভেন্টিং হোমলেসনেস ফান্ড গঠনে মূল ভূমিকা পালন। ৮) বো স্কুল, উলমোর প্রাইমারী স্কুল এবং ওসেন এস্টেট ডেবেলাপম্যান্টে নেতৃত্ব প্রধান,উচ্চ মানের জন্য ওসেন এস্টেট-এর সানডে টাইমস পুরস্কার লাভ। ৯) স্থানীয় ঐতিহ্য (হেরিটেজ) রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা। ১০) স্পেশাল এডুক্যাশন নিডস এবং রোড সেইফটির জন্য ক্যাম্পেইনে যুক্ত থাকা।
মেয়র প্রার্থী রাবিনা খানের ম্যানিফেস্টুর বিশেষ অংশগুলো হল:
(১) স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতা: বারার জনগণের কাছে আরো বেশী জবাবদিহীতা ও স্বচ্ছতার জন্য আমি নিয়মিত পিপুলস কোয়েশন টাইম আয়োজন করবো। কমিশনার এবং কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাবো। কাউন্সিল কনসালটেন্টদের খরচ যথার্থ কী না পর্যালোচনা করবো। নিয়মিত প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গ এবং ট্রেড ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন রাজনীনৈতিক গ্রুপের সাথে মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করবো। ফুল কাউন্সিল মিটিং এবং স্ক্রোটোনি কমিটির মিটিং-এ প্রশ্নের জবাব দেবো।
(২) ৫৫০০ হাউজিং ও কাউন্সিল ট্যাক্স না বাড়নো ৫৫০০টি এফোর্ডেবল হাউস নির্মাণ করার যে প্রতিশ্রুতি ছিলো সেটা অব্যাহত রাখা। হাউজিং পার্টনারদের কাছ থেকে সবেচেয়ে বেশী সুবিধা আদায়ের পদক্ষেপ থাকবে। হাউজিং এসোসেয়িশনকে জবাবদিহীতার মুখে রাখবো। পপলার হাউজিং জোন বাস্তবায়ন। এছাড়া আমাদের কর্মসূচী হবে- টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসকে কাউন্সিলে ফিরিয়ে আনা। কাউন্সিল ট্যাক্স না বাড়িয়ে ফ্রিজ রাখা। প্রজেক্ট ১২০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে চরমভাবে ডিসেইবুলদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হাউজিং সুবিধা দেয়া। প্রাইভেট হাউজিং সেক্টরের উন্নয়নে লন্ডন লিভিং রেন্ট স্কিমকে সমর্থন করা ছাড়াও হাউজিং ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে একটি রেফারেন্ডামের আয়োজন করা হবে। ডেভেলাপারদের কাছ থেকে আয়কৃত অর্থ দিয়ে নতুন ঘর তৈরী এবং কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণে সহযোগিতা। হোয়াইটচ্যাপল ভিশন: বিশাল এই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাড়ে ৩ হাজার ঘর, ৫হাজার চাকুরী এবং ৭টি পাকলিক স্পেইস তৈরী করা। টাউন হল: সাবেক রয়েল লন্ডন হসপিটাল ভবন আমরা ৯মি পাউন্ড দিয়ে ক্রয় করেছি। এতে টাউন হল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বছরে ১৪ মিলিয়ন পাউন্ড ভাড়া খরচ কমবে। যা জনকল্যাণে ব্যয় করা যাবে। কবরস্থান: টাওয়ার হ্যামলেটসের কমিউনিটির ঐক্যকে ধরে রাখা। কমিউনিটির জন্য একটি কবরস্থানের কার্যকর বাস্তবায়ন করা। ইতিমধ্যে এর জন্য ৩ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে ভূমি কেনা হয়েছে। এটা যাতে কোনো ঝুকিতে না পড়ে সেই ব্যবস্থা নেবো।
(৩) এন্ট্রারপ্রাটজ স্ট্রাটেজি, ২০ হাজার চাকুরী, ১৪ হাজার ট্রেনিং: সার্ভিস প্রোভাইডার ও থার্ড সেক্টরের প্রোভাইডারের সমন্বয়ে একটি এন্ট্রারপ্রাইজড স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করবো। যার মাধ্যমে ২০ হাজার চাকুরীর ব্যবস্থা হবে। বারাজুড়ে সাড়ে ১৪ হাজার মানুষকে ট্রেনিং দেয়া হবে। এছাড়া তরুণ সমাজের জন্য ৮ হাজার এপ্রেনটিসশীপ তৈরী করা হবে, যারা লন্ডন লিভিং ওয়েজ পাবেন। আর মহিলাদের জন্য আরো অতিরিক্ত সাপোর্ট প্রদান করা হবে, তাদের জন্য চাকুরী হাব করা হবে যেখানে শিশুদের জন্যও সুবিধা থাকবে। লোকাল বিজনেস এবং ট্রেডার্সকে সমর্থন করা হবে। ৪০% কন্ট্রাক্ট্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে স্থানীয়দের। ২ বছর বয়সীদের জন্য আরো বেশী নার্সারী প্লেস তৈরী করা হবে, যাতে প্যারেন্টসরা কর্মমূখী হতে পারেন। সাপোর্ট লোকাল বিজনেস: কাউন্সিল বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডের কন্ট্রাক্ট প্রদান করে। ২০১২ সালে এ ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসীন্দা ও ব্যবসাকে সুবিধা প্রদানের একটি নীতি আমি তৈরী করি। আমরা চাই আগামীতে এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ৪০ ভাগ সুবিধা আদায় করা। টাওয়ার হ্যামেলটস কার্ড: বিভিন্ন পর্যায়ে পার্টনারশীপের মাধ্যমে এই কার্ড চালু করা হবে। যাতে জনগণ ক্রেতা হিসেবে লাভবান হবেন এবং ব্যবসাও উপকৃত হবে। বিজনেস সংলগ্ন পার্কিং: লোকাল বিজনেসকে সহযোগিতা করতে সংলগ্ন এলাকায় পার্কিং সহজতর করা, আরো বেশী শর্ট স্টে পার্কিং এবং লোডিং-আনলোর্ডিং এর ব্যবস্থা করা ছাড়াও অনস্ট্রিট পার্কিং টিকেটের ক্ষেত্রে সিসিটিভি ব্যবহার কমানো এবং গ্রেইস পিরিওড পলিসি কার্যকর করা।
(৪) শিক্ষা ও তরুণ সমাজ: ফ্রি স্কুল মিল: প্রাইমারী স্কুলের সকল ক্লাসের (২৫ হাজারে বেশী) স্টুডেন্টদেরকে এর আওতায় আনা হবে। এমইএ এবং ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস: বিকল্প পন্থায় কলেজের স্টুডেন্টদের জন্য বছরে ৪শ পাউন্ড এডুকেশন মেনটেইনেন্স এলাউন্স ও ইউনিভার্সিটিতে গমনকারীদের জন্য ১৫শ পাউন্ড গ্রান্টস অব্যাহত থাকবে। সবার জন্য ভালো ফলাফলে অগ্রাধিকার দিতেই এই কর্মসূচী। স্কুল প্লেইস বৃদ্ধি করা এবং ছেলেদের উপস্থিতি বাড়ানো। ইয়ুথ সার্ভিসের উন্নতি: সরকারের ফান্ডিং কর্তনের পরও বারাজুড়ে ইয়ুথ সার্ভিস ও সেন্টার অব্যাহত থাকবে। এছাড়া প্রতিটি ইয়ুথ সেন্টারে একজন করে ক্যারিয়ার ডেভেলাপম্যান্ট এডভাইজার নিয়োগ দেয়া হবে। ইয়ুথ সার্ভিসে একজন প্রিভেন্ট গ্যাং কো অডিনেটর নিয়োগ দেয়া হবে। ইয়ুথ সার্ভিসের সামগ্রিক কর্মসূচী সকল পর্যায়ে কাজে লাগছে কী না সেটি রিভিউ করা হবে। স্টেপনিতে একটি নতুন ইয়ুথ সেন্টার চালু করা। বারার জন্য একটি স্পোর্টস স্ট্রাটেজি নেয়া।
(৫) কমিউনিটি সেইফটি এবং সামাজিক ঐক্য মোবাইল পুলিশ স্টেশন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাসিন্দাদের জন্য ক্রাইম রিপোর্টে সহজতর করা। মেয়র কমিউনিটি এওয়ার্ডস এর মাধ্যমে কমিউনিটির ঐক্য এবং সাফল্য উদযাপন। সেইফার স্ট্রিট: জন-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরো বেশী লাইট ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এছাড়া পার্টনারশীপের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৫৫ জন পুলিশ এবং ৪০জনের বেশী এনফোর্সম্যান্ট অফিসার (থিইও) নিয়োগ দেয়া হবে। এন্টি সোশ্যাল বিহেভিয়ার কমানো: অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে টার্গেটকৃত এলাকায় কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংঘবদ্ধ ক্রাইম দমনে এবং ড্রাগ ডিলারদের পাকড়াও করার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিশ্চিত করা হবে।
মহিলা ও মেয়েদের উপর সহিংসতা এবং হেইট ক্রাইম কমিয়ে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং এ সংক্রান্ত ঘটনার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা ও ভিকটিমকে সাপোর্ট করার উদ্যোগ থাকবে। পার্ক এবং প্লে গ্রাউন্ড এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো।
(৬) হেলথ, জিপি সার্জারী এবং ফ্রি হোম কেয়ার: ফ্রি হোম কেয়ার সেবা প্রদানকারী একমাত্র বারা হিসেবে রেকর্ড অব্যাহত রাখা। বয়স্করা যাতে জনবিচ্ছিন্ন না হন সেই ব্যবস্থা নেয়া, লাঞ্চ ক্লাব আরো বৃদ্ধি করা এবং ঘরের মধ্যে জীবনের শেষ প্রান্থের সেবাকে আরো সমৃদ্ধ করা। সরকারের এনএইচএস কার্ট এর বিরোধীতা করা। ডেভেলাপারদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে জিপি সার্জারী বৃদ্ধি করা।
(৭) ২ হাজার বৃক্ষ রোপন এবং পরিবেশ রক্ষা: সবুজ-সুন্দর এ বারার সৌন্দর্যকে অক্ষুন্ন রাখতে অতিরিক্ত ২ হাজার বৃক্ষ রোপন। এস্টেইট ভিত্তিক প্লান্টিং বৃদ্ধি করা। স্ট্রিট নিয়মিত পরিস্কার রাখা। পার্কের উন্নয়ন অব্যাহত রাখা, ইতিমধ্যে ১২ মি পাউন্ড খরচ করা হয়েছে এই খাতে। রোড সেইফটির জন্য বারাকে ২০ মাইল এন আওয়ার জোন হিসেবে ঘোষনা করা। সাইকেল ট্রেনিং অব্যাহত রাখা। বো স্কুলে একটি নতুন পাবলিক ক্রোসিং করা। পার্কিং পারমিট কস্ট রিভিউ করা।
(৮) আর্ট, কালচার এবং ঐতিহ্য: বারায় নতুন একটি কালচার স্ট্রাটেজি নেয়া। বেথনালগ্রিনে একটি আইডিয়া স্টোর চালু করা। ৩৫ মি খরচে নতুন ভবনে পপলার বাথ (২টি সুইমিংপুলসহ নান সুবিধা) এবং স্টেপনি ডেমকলেট হাউস ইয়ুথ সেন্টারের সূচনা করা। হোয়াইটচ্যাপল ভিশনের অংশ হিসেবে নতুন আর্ট এন্ড মিডিয়া সেন্টার চালু করা। সমাজে অনন্য ভূমিকা পালনকারীদের জন্য মেয়রস পিপুলস এওয়ার্ড চালু করা। রিচমিক্স সেন্টারের সাথে সম্পর্ক রিভিউ করা। মেয়র কাপ ফুটবল অব্যাহত রাখা। কবি নজরুল সেন্টারে বিনিয়োগ করে আরো সক্রিয় করা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button