বিপুল উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি : মোদী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তিনি বিপুল উৎসাহ ও আনন্দের সাথে ঢাকা সফরে যাচ্ছেন। একই সাথে ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কের বন্ধন অনেক মজবুত বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বিবৃতিতে মোদী বলেন, বাংলাদেশ সফরে আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি আছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক, যিনি ভারত-বাংলাদেশের শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি জানান, ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের একাধিক বৈঠক হবে, সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হবে, বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন হবে এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ সফরকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মান জানাবেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন তিনি। শেখ মুজিবুর রহমানকে ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে গণতান্ত্রিক স্তম্ভ বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর পক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা গ্রহণ করাটাও নিজের জন্য সম্মানজনক বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করে অটল জি ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আজকের পর্যায়ে আসতে সহায়তা করেছেন।
গতকালের বিবৃতিতে মোদী ভারতের পার্লামেন্টে স্থল সীমান্ত বিল পাসের কথাও উল্লেখ করে এটি পাস করতে সহায়তা করায় তার দেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মোদী আরো বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধন আরো দৃঢ় করতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা এবং ঢাকা-শিলং-গৌহাটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন। সফরকালে মোদী ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন এবং ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন তার বিবৃতিতে।
মোদী বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তার এই সফর ভারত-বাংলাদেশের জনগণ ছাড়াও দক্ষিণ এশীয় রাজনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে।