ঢাকায় মোদি : বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা
ঢাকা পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে বহনকারী ভারতের বিমান বাহিনীর বিশেষ উড়োজাহাজটি (ক৫০১২) হজরত শাহজালাল বিমান বন্দরে নামে। পরে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিমান বন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।
মোদিকে ঢাকায় স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরে দুই প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর সালাম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সফরে মোদির সঙ্গে রয়েছেন ৮১ সদস্যের একটি দল। যাদের মধ্যে ২৪ জন অফিসিয়াল ডেলিগেট।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দুবাল ও পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামিনিয়াম জয়শঙ্কর। শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রাসহ সাভারে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি।
স্মৃতিসৌধ থেকে ঢাকায় ফিরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন মোদি। তারপর তিনি যাবেন সোনারগাঁও হোটেলে, এই সফরে সেখানেই থাকবেন তিনি। সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শীর্ষ বৈঠকে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন বিমান বন্দরে।
শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ মোদীর:উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঢাকায় পৌঁছানোর পর ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় এক টুইটার বার্তায় মোদী লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমি একটি সুন্দর সফর আশা করছি, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে।’
এর আগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার সময়ও একটি টুইটার বার্তা দিয়েছেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে রওনা হচ্ছি। এই সফর দুই জাতির পারস্পরিক বন্ধন আরও মজবুত করতে যাচ্ছে। এতে শুধু দুই দেশের জনগণই নয়, এই অঞ্চলের সবাই উপকৃত হবে।’