রানা প্লাজার শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণে ২৩৪ কোটি টাকা

Rana Plazaসাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকে যে অর্থ পাওয়ার টার্গেট করা হয়েছিল অবশেষে তা পূর্ণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩ কোটি ডলারের (২৩৪ কোটি টাকা) তহবিল গঠনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
সেই তহবিল সম্প্রতি পরিপূর্ণ হওয়ার পর এখন ক্ষতিপূরণের শতভাগ প্রদানে আর কোনো সংকট থাকছে না।
অর্থ আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিপূরণ প্রদানে আইএলও’র নেতৃত্বে সরকার, শ্রমিক এবং গার্মেন্টস মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সমন্বয় কমিটির সদস্য এবং বিলসের কর্মকর্তা সুলতান উদ্দিন আহমেদ।
বিবিসিকে তিনি জানান, মৃতদের পরিবার ১০ লাখ টাকা আর আহতরা ২ লাখ টাকার নিচে কেউ যেন না পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া এখনও ২৪ জন ক্ষতিপূরণের দাবিদার রয়েছেন, তাদের বিষয়েও তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
৩০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ প্রদানের পর বাদবাকি অর্থ রাখা হবে শ্রমিকদের চিকিৎসা খরচ বাবদ।
দুই বছর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ে।
এতে ভবনের ভেতরে থাকা পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকসহ ১১৩৭ জন মারা যান বলে সরকারি হিসেবে জানানো হয়। আর আহত হন আড়াই হাজারের বেশি শ্রমিক।
এরপর নিহত পোশাক শ্রমিকদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণের জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলো ইন্ডাস্ট্রি অলসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সাথে মিলে আইলও’র নেতৃত্বে ৩০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়।
এ বছর ওই দুর্ঘটনার দুই বছরপূর্তিতে কর্মকর্তারা জানান, তহবিলে প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার ঘাটতি থাকায়, ২৯০৯ জনকে আংশিক অর্থাৎ ৭০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
পাঁচ হাজার আবেদনের মধ্য থেকে বিভিন্ন বিবেচনায় এই ২৯০৯ জনকে বাছাই করা হয়েছিল।
মূলত আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দেয়া অর্থ দিয়েই এই তহবিল তৈরি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দেয়া ২২ কোটি টাকা অনুদানও এই তহবিলের আওতায় ধরা হয়েছে।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর এ সংক্রান্ত তহবিলে ১০০ কোটি টাকার বেশি জমা পড়েছে বলে বলা হচ্ছে।
রানা প্লাজা ট্রাজেডির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির সময় পশ্চিমা ফ্যাশন রিটেইলার বেনেটন এই তহবিলে ১১ লাখ ডলার দান করার ঘোষণা দেয়।
রানা প্লাজার তহবিলের জন্য  অবিরাম প্রচারণা চালিয়েছে ক্লিন ক্লথ ক্যম্পেইন নামের একটি বেসরকারি সংগঠন। এ সংগঠনের কর্মকর্তা ইনেকে জেলডেনরাস্ট বলেন, এই মুহূর্তটির জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে।
তিনি একে ‘ন্যায়বিচারের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত’ বলে মন্তব করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button