টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র নির্বাচন আজ
শেষ হাসি কে হাসবেন, সিলেটের রাবিনা না জন?
বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার মেয়র নির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার। এ নির্বাচনে ১০ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। আর স্টেপনি ওয়ার্ডের একটি কাউন্সিলার পদের জন্য লড়ছেন মোট ৭ প্রার্থী।
গত বছরের ২২ মে অনুষ্ঠিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র পদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে তা বাতিল করার দাবি জানিয়ে আদালতে আপিল করেন চার পিটিশনার। ওই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচনী আদালত। একই সাথে ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী মেয়র সিলেটের লুৎফুর রহমান ও তার নির্বাচনী এজেন্ট কাউন্সিলার আলিবর চৌধুরীকে কাউন্সিলার পদ থেকে অপসারণ করেন। আর ৫ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হয় লুৎফুর রহমানকে।
এবারের মেয়র নির্বাচনে সিলেটের মেয়ে রাবিনা খানকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে বেশি। বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র নির্বাচনে আবারও ইতিহাস রচনার দিন। কেউ ভাবছেন রাবিনা খানের মাধ্যমে লুৎফুর রহমানের সূচিত ইতিহাস এবং সফল কর্মসূচি শুধু অব্যাহত থাকবে না, আরও এগিয়ে যাবে। কারো কারো ভাবনা এবার ব্যতিক্রম হলে ইতিহাস রচিত হবে ভিন্নভাবে। অনেকের আশা নতুন প্রজন্মের নেত্রী হিসেবে রাবিনা আরও ব্যতিক্রম।
আবার কেউ কেউ মনে করছেন একটির পর একটি আঘাত লুৎফুর রহমানকে থামাতে পারেনি, এবার আরো জনসমর্থন বেড়েছে। কিন্তু আইনের মাধ্যমে তাকে সরিয়ে দেয়ায় এখন রাবিনা এসেছেন। কিন্তু তাকে বিজয়ী না করতে পারলে ঝুঁকিতে পড়তে পারে অনেক সফল কর্মসূচি।
কিন্তু এই অঞ্চলের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেননি লুৎফুর রহমান। কমিউনিটির একটা অংশের সমর্থন নিয়ে তিনি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। নিজে নির্বাচন করতে না পারলেও তার গ্রুপ থেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে রাবিনা খানকে। গত দেড় টার্মে রাবিনা খান হাউজিং কেবিনেটে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। লেখক হিসেবেও রাবিনা খানের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। ‘হিরো অব দ্যা ইয়ার’ হিসেবে ইউরোপিয়ান ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি।
মাত্র চার বছর বয়সে বাবা-মা’র সাথে ব্রিটেনে এসেছিলেন রাবিনা খান। সিলেটের এক নিভৃত পল্লীর মেয়ে রাবিনা খান। এমবিএ ডিগ্রিধারী রাবিনা খান জানিয়েছেন, লুৎফুর রহমানের অসামাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী তিনি। বললেন, ‘ইনশাল্লাহ জয়লাভ করবো।’
এবারের নির্বাচনে ১০ প্রার্থী হলেও আলোচনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রাবিনা খান ও লেবার পার্টি প্রার্থী জন বিগস। সিনিয়র প্রার্থী জন বিগসের তুলনায় রাবিনা খান যে যোগ্যতা এবং তারুণ্যের দীপ্ততায় পিছিয়ে নেই এটা সবার জানা। রাবিনা খান ও জন বিগসের মধ্যে মূল লড়াই হবে এটা নিশ্চিত। এখন দেখার পালা কে হাসবেন শেষ হাসি। রাবিনা খান নাকি জন বিগস।