চীন বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায়
চীন আগের মতোই বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে সফররত দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা। তারা বলেছেন, বিএনপি ও চীনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এটা দুই দেশের ভৌগোলিক সীমারেখার বন্ধন। চীন আগের মতোই বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায়, যাতে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অবকাঠামো অর্থবহ হয়ে উঠে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলটির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে একথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
সূত্র মতে, বাংলাদেশে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সফর করছেন। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট গো ইয়ে জোর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতও উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে ড. মঈন খান কমিউনিস্ট পার্টির বরাত দিয়ে বলেন, প্রতিনিধি দল বলেছে, বিএনপি ও চীনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চীন আগের মতোই বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায় যাতে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অবকাঠোমো অর্থবহ হয়ে উঠে।
মঈন খান আরো বলেন, আধুনিক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে গড়ে উঠেছিল। সেই পরিক্ষীত সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হাজার বছরের। চীনও জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করে। বিএনপিও জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করে। এ কারণে চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক আগে থেকেই নিবিড়। বৈঠকে দুই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।