গাজায় জাতিসংঘের সর্বশেষ শরণার্থী শিবিরও বন্ধ
ফিলিস্তিনের গাজায় জাতিসংঘের সর্বশেষ শরণার্থী শিবিরটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালায় ইসরায়েলী বাহিনী। ৫০ দিনব্যাপী চালানো ওই একতরফা হামলায় নতুন করে এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনী গৃহহীন হয়। এদের অধিকাংশই বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা বলেন, ‘প্রায় ৩০টি পরিবার বাহরাইন স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে গেছে।’ শিবিরটিতে ১১০০-এরও বেশি লোক বসবাস করত বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যুদ্ধে গৃহহীনদের জন্য ব্যবহৃত এটাই ছিল সর্বশেষ ভবন।
আদনান জানান, শিবির ছেড়ে যাওয়া প্রত্যেক পরিবারকে সাময়িক আশ্রয় খোঁজার জন্য ৮০০ থেকে ১ হাজার মার্কিন ডলার করে দেওয়া হয়েছে। যে সকল পরিবার ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের নিয়মিত অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শরণার্থী সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলী হামলায় ধ্বংস ভবনগুলো পুনর্নির্মাণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে কয়েকটি ভবন সংস্কার করা হয়েছে।
গাজায় আশ্রয়শিবির হিসেবে স্কুলভবন ব্যবহার করে থাকে জাতিসংঘ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছেড়ে দেওয়া স্কুল ভবনগুলো পড়াশোনার কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলী বর্বর হামলার পূর্ব মুহূর্তে প্রায় ৩ লাখ ফিলিস্তিনী জাতিসংঘ চালিত ৯১টি স্কুলে আশ্রয় নেয়। এগুলোর বেশ কয়েকটিতে হামলা চালায় ইসরায়েল।
হামাসের যোদ্ধাদের দমনের নামে চালানো ইসরায়েলী ওই হামলায় প্রায় ২২০০ ফিলিস্তিনী নিহত হয়। এদের তিন-চতুর্থাংশই বেসামরিক নাগরিক।