বিউটিফুল বাংলাদেশ ?
সাইদুল আজীম: এই ছবিটি, আর সঙ্গে একলাইন প্রশ্ন। বিউটিফুল বাংলাদেশ? ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এতটুকুই জিজ্ঞাসা ছিল গণজাগরণ মঞ্চের আহব্বায়ক ড: ইমরান এইচ সরকারের। এর প্রতিউত্তরও চলে আসে সাথে সাথই। কমেন্টে আল শাহরিয়ার নামে একজন লিখেছেন, ‘সব থেকে খারাপ লাগছে পেছনের বদ ছেলেগুলোর হাসি দেখে। সত্যি আমরা মানুষ হতে পারলাম না। সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।’
ফরহাদ আলম নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘বিদেশী মেয়েটির কষ্টকর অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করে আমাদের তরুণরা দাঁত বের করে হাসছেন, লজ্জাজনক!’ শহিদুল ইসলাম সজীব লিখেছেন, ‘কিচ্ছু করার নাই! মেয়রের ভাই সেনাপ্রধান! আবার আসবেন মেম।’
নগরীর জলাবদ্ধতা বনাম নাগরীক দূর্ভোগের চিত্রের চিত্রায়ণের জন্য এর থেকে উত্তম চিত্র আর কয়টা হতে পারে। বর্ষার টানা বর্ষণে শনিবার বিকেল পর্যন্ত রাজধানীতে নাগরিক ভোগান্তির এমন বেহাল অবস্থার চিত্রই উঠে আসে।
তবে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ‘সারাদেশে চলমান বৃষ্টি রবিবার বিকেল নাগাদ কমতে পারে। মৌসুমি বায়ূ ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের ফলেই বিরামহীন এই বর্ষণ।’
শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় অফিস- আদালতগামী মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে না হলেও রাজধানীর অলিগলিতে বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। রাজধানীর মিরপুর, মালিবাগ, মুগদা-বাসাবো, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলবাদ্ধতার কারণে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে।
এদিকে রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। যথাক্রমে দেশের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে,- ‘চাঁদপুরে-২৫০ মিলিলিটার, কক্সবাজারে-২২০ মিলিলিটার, চট্রগামে-১৮০ মিলিলিটার, রাজশাহীতে ১১০ মিলিলিটার।
এছাড়াও জলাবদ্ধতার এই ভোগান্তি ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে। অপরদিকে পাহাড়ধসে গতকাল শুক্রবার বান্দরবানে দুই শিশুর (ভাই-বোন) মৃত্যু হয়েছে।
আষাঢ়ের এমন বৃষ্টিতে প্রায় স্থবির হয়ে পড়া রাজধানীর জনজীবন। স্বাভাবিকতায় ফিরতে আষাঢ়ের শেষ গর্জণ পর্যন্ত নগরবাসীকে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে বলেও পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর।