বৃটেনে সন্ত্রাসবাদের সন্দেহে আটকের আইন আরও কঠোর করার পরিকল্পনা
সন্ত্রাসবাদের সন্দেহে আটকদের ব্যাপারে বৃটেনের আইনে সীমান্ত এবং বন্দর পুলিশকে আরও ক্ষমতা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ আইনেরই ক্ষমতাবলে বৃটেনের পুলিশ মার্কিন সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ডের সহযোগী ডেভিড মিরান্ডাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। টেরোরিজম অ্যাক্ট ২০০৭ এর সাত ধারায় বৃটিশ পুলিশকে বন্দর, বিমানবন্দর এবং আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নয় ঘণ্টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রে তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। অন্যান্য মামলায় বৃটিশ আইনের নানা বিধি নিষেধ থাকলেও সাত ধারায় আটক সন্দেহভাজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করলে বা জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেটাকে অপরাধ বলে বিবেচনা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এক্ষেত্রে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আটকের জন্য কোন কারণ দেখানোর প্রয়োজন হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে বলেন এ বছরের শুরুতে এসব সংশোধনীর মাধ্যমে প্রস্তাবিত এ আইনটি এখন পার্লামেন্টে বিরোধিতার মুখোমুখি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময়সীমা ছয় ঘণ্টায় নামিয়ে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। সাত ধারার অধীনে একজন তদন্ত কর্মকর্তা বৃটেনের বন্দর বা সীমান্তে কোন ব্যক্তি ৪০ (১)(বি) ধারায় পড়ছেন কিনা সেটা যাচাই করতে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। সন্ত্রাসবাদ ঘটানো, প্রস্তুতি বা উস্কানি দিতে পারে এমন ব্যক্তিদের এ ধারার আওতায় রাখা হয়েছে। এ আইনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের আওতায় কোন ব্যক্তি পড়েন কিনা সেটা নির্ধারণ করতে আইন রক্ষাকারীর সদস্যরা যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। এ আইনের আওতায় আটক ব্যক্তি তদন্ত কর্মকর্তার জিজ্ঞাসার সব ধরনের প্রশ্নের জবাব দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রে তল্লাশি চালাতে দিতে বাধ্য। এ আইনের অধীনে কোন ব্যক্তির জিনিস আটক করার সাত দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে এর তথ্য আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য রাখা হতে পারে।
আটক কোন ব্যক্তি যদি তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালনে বাধা বা অন্য কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তাহলে তিনি তিন মাসের কারাদণ্ড এবং জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এ আইনে আরও বলা হয়েছে, এ ধারায় কেউ আটক হলে তার বিরুদ্ধে অন্য কোন আইনে আটকাদেশ না থাকলে আটকের নয় ঘণ্টা পর তাকে মুক্তি দেয়া হবে। -মানবজমিন