ফকল্যান্ড দ্বীপে আর্জেন্টিনা ব্রিটেন স্নায়ুযুদ্ধ
ফকল্যান্ড বা মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জে তেলকূপ খননরত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম রহিতকরণসহ সব অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার আদালত। তিয়েরা দেল ফুয়োগো আদালতের বিচারক লিলিয়ান হারায়েজ এ জব্দ করার আদেশে স্বাক্ষর করেন। সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার। ফকল্যান্ড (ব্রিটন নাম) বা মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ (আর্জেন্টিনীয় নাম) একটি বিসংবাদিত দ্বীপাঞ্চল। এর মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলছে উত্তপ্ত বচসা। ফকল্যান্ড বা মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ১৯৮২ সালে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আটলান্টিকের দ্বীপাঞ্চলটি আর্জেন্টিনা ৭৪ দিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। অতঃপর ব্রিটেনের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারায়।
আদালত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত আদেশ করার নির্দেশ দিলেও এ নিয়ে রয়েছে জটিলতা। প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম শুরুর ভিত্তিরাষ্ট্র আর্জেন্টিনা নয়। ব্রিটেন। যেকারণে সম্পদ জব্দ করার আইনী প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
তেল উত্তোলক প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১০ সাল থেকে দ্বীপপুঞ্জে তেল উত্তোলন কার্যক্রম আরম্ভ করে। যদিও এতে বুয়েন্স এইরেসের দ্বিমত ছিল। বিচারক লিলিয়ান হারায়েজ জানান, নতুন আইনের আওতায় বিদেশের মাটিতেও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব। বিতর্কিত এ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের নাম প্রিমিয়ার অয়েল, রকহপার এক্সপ্লোরেশন, ফকল্যান্ড অয়েল এন্ড গ্যাস, নোবল এনার্জি এবং এডিসন ইন্টারন্যাশনাল স্পা।