বিশাল ক্ষতির মুখে তিউনিসিয়ার পর্যটন শিল্প
তিউনিসিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার একটি এ্যামেচার ভিডি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে রোববার। হোটেলের ছাদ থেকে তুলা সেই ফুটেজে হামলাকারী কিভাবে বন্দুক হাতে পর্যটকদের উপর হামলা চালাচ্ছে সে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে পর্যটকদের উপর শুক্রবারের হামলার পর দেরিতে হলেও সেখানে নিরাপত্তা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে সে দেশের সরকার। ভয়াবহ এ ঘটনার পর পর্যকট শূণ্য হয়ে পড়েছে এলাকাটি।
রোববার বীচে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মরণ করা হয়। এ সময় সাধারণ তিউনিসিয়ানদের কাতারে ব্রিটিশ পর্যটকরাও উপস্থিত ছিলেন। সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা হয় সেখানে। এদিকে তিউনিসয়ার সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আরো দুই বৃটিশ নাগরিকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন স্কট চকলি এবং সো ডেভি। তাদের ২ জনের বয়স ৪০। তাদের পরিবারর পক্ষ থেকে নাম নিশ্চিত করা হয়। তিউনিসিয়ায় এ পর্যন্ত ১৫ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন বলে সনাক্ত করা হয়েছে।
বীচে হত্যাকারীর নাম সাইফুদ্দিন আল রিজগি। তার বয়স ২৩ বছর। সে ইলেক্ট্রিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। সোসাল মিডিয়া থেকে সংগৃহিত তার একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে অবাক হয়েছেন সাধারণ মানুষ। সে গানের সঙ্গে ড্যান্স করছে। কেউই বিশ্বাস করতে পারছেননা যে এ লোকটি ৩৮ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। এদিকে সমুদ্রতীরের বালুতে ফুল এবং কার্ড দিয়ে রোববারও বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহতদের স্মরণ করেন। এ ঘটনাটি তিউনিসিয়ার পর্যটন ব্যবসায় দীর্ঘদিনের জন্য মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পর্যটকদের ভীড়ে যেখানে দম ফেলার সময় পাওয়া যেতো না সেখানে বেকার বসে আছেন ক্যাব ড্রাইভাররা। একই অবস্থা বীচের আশেপাশের দোকানগুলোতেও।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এ এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ঘোষনা দিয়েছে সে দেশের সরকার। এমনকি আর্মি ক্যাম্প বসানোর পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে তিউনিসিয়া সরকার। তবে তাতে অনেক দেরি হয়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।