আত্মা পরিশুদ্ধির মাস রমযান : কবি আল মাহমুদ
সকল অনাচার অবিচারের বিপরীতে ইসলামই মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বর্তমান পৃথিবী পাপাচারে নষ্ট হয়ে গেছে। এই পৃথিবীর পরিবর্তন দরকার। আর এ পরিবর্তন করতে দরকার কবি সাহিত্যিকদের আত্মার পরিশুদ্ধি। আর এ আত্মা পরিশুদ্ধি করার মাস হলো পবিত্র রমযান মাস।
গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে রমযানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে
প্রধান অতিথি ছিলেন দেশের প্রধানকবি আল মাহমুদ। প্রধান বক্তা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ। সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি আসাদ বিন হাফিজের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শরীফ বায়জীদ মাহমুদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এ কে এম আবদুল হান্নান ভূঁইয়া,কবি আল মুজাহিদী, চলচ্চিত্র পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মসিউল আলম, অধ্যাপক ড. সুকোমল বডুয়া, এডভোকেট ফয়জুল কবির, সাংবাদিক সঞ্জিব চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মুঃ মুফাজ্জল হুসাইন খান, সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার, সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদের (সসাস)-এর নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার, কেন্দ্রের সহকারী সেক্রেটারি আবেদুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মতিউর রহমান, লেখক মাহবুবুল হক, দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক ও কবিবৃন্দ। রোজার গান পরিবেশন করেন মহানগর শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ।
কবি আল মাহমুদ বলেন, পৃথিবী পরির্বতন চাইছে। সকল অনাচার-অবিচারের বিপরীতে ইসলামী আর্দশই পৃথিবীতে শান্তি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি রাজনীতির মতো রাহুগ্রস্ত হলে চলবে না। মানুষের জন্য, জীবনের জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কবিদের কথা বলে যেতেই হবে। কবি সাহিত্যিকরা জাতির আত্মা। আর এই আত্মা পরিশুদ্ধি করার মাস হলো পবিত্র রমযান মাস। আর এ পৃথিবী পরিবর্তন করতে হলে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন। আর এ আন্দোলন শুরু করতে হবে আমাদের পরিবার থেকেই।
বিচারপতি আবদুর রউফ বলেন, মাহে রমযান তাকওয়া অর্জনের মাস। নিজেকে জানার এবং যাচাই করার মাস রমযান। কিন্তু যাদের জন্য এই মাস তারা কতটুকু এর থেকে তাকওয়া অর্জন করতে পারলো এটাই মূল বিবেচ্য বিষয়। রমযান আমাদের শিক্ষা দেয় পবিত্রতা, বিশুদ্ধতা, শৃংখলা, অন্যের হক আদায়ে সচেষ্ট থাকা, পরমত সহিষ্ণুতা। আর এটাই হচ্ছে ইসলাম এবং ইসলামের সংস্কৃতি। এই সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা রমযানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কাজে লাগাতে হবে।
শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, সংস্কৃতি একটি জাতির আত্মপরিচয়। সুস্থ সংস্কৃতি পরির্চযার জন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে ভূমিকা পালন করতে হবে।