ভারতের কেরালায় মুসলিম কলেজে জিন্স-লেগিংস নিষিদ্ধ
ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি মুসলিম মহিলা কলেজ মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের টাইট জিন্স প্যান্ট, ছোট টপস ও লেগিংস পরে ক্যাম্পাসে আসা নিষিদ্ধ করেছে।
উত্তর কেরালায় অবস্থিত মুসলিম উইমেন্স কলেজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি ছাত্রীদের জন্য নতুন ড্রেস কোড (পোশাক নীতি) নির্ধারণ করেছে। এই নীতি অনুযায়ী টাইট জিন্স প্যান্ট, শর্ট টপস এবং লেগিংসের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের সালোয়ার, কামিজ, চুড়িদার এবং ওভারকোট পরতে হবে। এর সঙ্গে কেউ মাথায় ‘মাফথা’ বা স্কার্ফ পরতে চাইলে তাঁরা ধূসর বা ছাই রঙের স্কার্ফ পরতে পারবেন।
পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে বলা হয়েছে, মুসলিম উইমেন্স কলেজের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই। ওই দিন থেকে শিক্ষার্থীদের পোশাকের ক্ষেত্রে ওই সব নিয়ম মানতে হবে।
কেরালার কোজিকোড জেলার এই কলেজটি পরিচালনা করে নাডাক্কাভুর মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস)।
কলেজের অধ্যক্ষ বি. সীতালক্ষী পিটিআইকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী টাইট জিন্স প্যান্ট, শর্ট টপস এবং লেগিংস পরে ক্লাস করতে আসত। এরপরই পোশাকের ব্যাপারে নতুন ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা এসব (টাইট জিন্স প্যান্ট, শর্ট টপস এবং লেগিংস) পরতে শিক্ষার্থীদের অনুমতি দিতে পারি না। শালের (চাদর ধরনের) পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ওভারকোট পরতে হবে।’
বি. সীতালক্ষী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবে এই ড্রেস পরতে হবে। তবে কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের এই ড্রেস কোড মানার জন্য জোরজারি করা হবে না। তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী নতুন পোশাক অর্থাৎ জামা, চুড়িদার এবং ওভারকোট এবং মাথায় স্কার্ফ পরে ক্যাম্পাসে আসার পক্ষে। প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা নতুন পোশাকের ব্যাপারে কলেজের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রশংসা করেছেন। তবে এরা সবাই গরিব পরিবারের।
মুসলিম এডুকেশন সোসাইটির রাজ্য সভাপতি ফয়সাল গফুর বলেছেন, নতুন এই পোশাক নীতি চালু হয়ে গেলে আস্তে আস্তে তা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে।