লতিফকে গ্রেফতার না করলে হরতালসহ বৃহত্তর আন্দোলনের আলটিমেটাম শীর্ষ ওলামাদের

পবিত্র হজ্ব, মহানবী (স.) ও তাবলীগ জামায়াত নিয়ে অশালীন মন্তব্যকারী বহু মামলার আসামী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়ায় ফুসে উঠছে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ লতিফ সিদ্দিকীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আলটিমেটাম দিয়েছেন। তারা বলেছেন- সরকার তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি না দিলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। এদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও দেশব্যাপী হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লমা শাহ আহমদ শফীসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ আল্টিমেটাম দিয়েছে।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, আল্লাহ, রাসুল ও ইসলামের পবিত্র বিধান হজ্বকে কটাক্ষকারী, আত্মস্বীকৃত নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দিয়ে সরকার দেশের সর্বস্তরের মুসলমানদের সাথে প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি করেছে এবং নাস্তিক্যবাদী শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পবিত্র রমযানে আল্লাহ শয়তানকে বন্দী করে রাখেন আর বর্তমান সরকার শয়তান লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্ত করে দিয়ে নিজে শয়তানের কাতারে শামিল হয়েছে।
তারা বলেন, পবিত্র রমযান মাসে মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকে। এ মাসকে টার্গেট করে এর পবিত্রতা নষ্ট করার জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এটি বস্তুত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের প্রশ্রয় এবং লালনের ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালতকে ব্যবহার করে এরূপ কর্মকাণ্ডে মাধ্যমে পরিকল্পিত উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার না করলে শুক্রবার বাদ জুমা সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার জন্য সর্বস্তরের আলিম-ওলামা ও নবীপ্রেমিক জনতার প্রতি আহ্বান জানান হেফাজত নেতৃবৃন্দ।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হোক এটা আমরা কখনও চাই না কিন্তু সরকার  নাস্তিককে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে দেশের ষোল কোটি মুসলমানকে বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। এরূপ অদূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে বিক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক আইন হাতে তুলে নেবার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। তারা বলেন, ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিকদের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলাম জিরো টলারেন্স দেখাবে। ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়; নাস্তিকদের পক্ষ নিয়ে এদেশে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। নেতৃবৃন্দ লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মুসলমানদের গণদাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
লাগাতার আন্দোলন-শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম : লতিফ সিদ্দিকীকে জামিনে মুক্তি দিয়ে সরকার ইসলাম, মুসলিম উম্মাহ ও এদেশের সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে চরম উপহাস করছে বলে মন্তব্য করেছেন শীর্ষ ওলামায়ে কেরমাগণ। একই সঙ্গে তারা আগামী শুক্রবার বাদ জুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনই স্ব-ঘোষিত ধর্মদ্রোহী মুরতাদ আ. লতিফ সিদ্দিকীকে পুনরায় গ্রেফতার করে সর্বস্তরের ঈমানদারদের প্রাণের দাবি মেনে নিন। সংসদের চলতি অধিবেশনেই মুরতাদদের মৃত্যু দণ্ডের বিধান পাস করে সে আইনেই মুরতাদ আ. লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। অন্যথায় লাগাতার কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানি ও নৈতিক অধিকার আদায় করা হবে। তারা বলেন, সকলকে স্মরণ রাখা উচিত সরকার আসে সরকার যায়, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ও জনগণের আকিদা বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে কেউ কোনো দিন মসনদে টিকে থাকতে পারেনি। বিশ্ব স্বৈরচার ফেরাউন, হামান, নমরুদ, আবু জেহেল, আবু লাহাব ও নিকট অতীতে সাদ্দাম, গাদ্দাফীদের করুণ পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- শীর্ষ আলেমেদ্বীন রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, হেফাজতে ইসলামের আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবু নগরী, আল্লামা সুলতান যওফ নদভী, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী,শাহতলীর পীর মাওলানা আবুল বাসার,ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোঃ হাসান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীকি, মীরের সরাইর পীর মাওলানা আঃ মোমেন নাছেরী, টেকের হাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী ও খেলাফত যুব আন্দোলনের আমীর মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে- ইসলামী ঐক্যজোট :  লতিফ সিদ্দিকীকে আগামী শুক্রবারের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে, বাদ জুমা ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দেশব্যাপী হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিসে শূরার সভায় বলা হয়, নাস্তিক-মুরতাদদের গুরু পবিত্র হজ্জ এবং তাবলীগের বিরুদ্ধে বিষোদগারকারী হায়েনা লতিফদের রুখে দিতে সবাইকে এগিয়ে আসাতে হবে। মজলিসে শূরার অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, ইসলামের দুশমনরা  ইসলাম ও মুসলমানকে অকথ্য বাক্যবানে জর্জরিত করে উম্মাহবিরোধী উগ্রবাদ ছড়িয়ে দিয়ে ও নাস্তিক্যবাদী চরম জঙ্গি অপতৎপরতা চালিয়ে ইসলাম ও ইসলামী দর্শনকে উগ্রপন্থায় আক্রমণ করে মুমিন মানুষের হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিচ্ছে। অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, আমরা দেশে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা দেখতে চাই না। আগামী জুমাবার প্রতিটি মসজিদ থেকে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করে ঈমানী দায়িত্ব পালন করুন। গতকাল মঙ্গলবার বাদ যোহর ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে লালবাগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শূরার সভায় বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ ,ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকীব এডভোকেট, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী মুহাম্মদ  তৈয়্যেব হোসাইন, অধ্যাপক আবদুল করীম, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসীম উদ্দীন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন,মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা রিয়াজতুল্লাহ, মাওলনা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আবদুল আজিজ প্রমুখ।
জনগণ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে- খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর লতিফ সিদ্দিকীর জামিন ও মুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মহানবী সা. ও হজ্ব সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে আ: লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করার দাবি দেশের সকল মুসলমানের। কিন্তু সরকার তা না করে লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন ও মুক্তি দিয়ে দেশের  কোটি  কোটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত দিয়েছে। অপরাধীকে গ্রেফতার করলেই সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আইন করে লফিত সিদ্দীকিকে ফাঁসি দেয়া উচিত ছিল। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ আল্লাহ-রাসূল ও ইসলামকে কটাক্ষ করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে।
তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে জনগণ আন্দোলনে মাঠে নামতে বাধ্য হবে। গতকাল সকালে খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দফতরে এক জরুরি বৈঠকে তিনি সভাপতির ভাসনে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মুহাম্মাদ আজম খান, মুফতি ফখরুল ইসলাম , মাওলানা সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী , মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী ও হাফেজ মাওলানা আবু তাহের প্রমুখ।
১৫ রমযান বিক্ষোভ ইসলামী আন্দোলনের : আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বাতিল করে পুনরায় গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইসলামী আন্দোলন আগামী ১৫ রমযান দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ১৭ রমযান ঢাকায় সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলনের মজলিসে আমেলার সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কর্মসূচি : ১৫ রমযান দেশব্যাপী বিক্ষোভ, ১৭ রমযান ঢাকা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ।
খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল : সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দিয়ে ইসলাম বিরোধী শক্তি নবীর দুশমন নাস্তিক মুরতাদদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অবিলম্বে মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। গতকাল মঙ্গলবার লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এ দাবি জানান।
মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা ড. জি এম মেরেুল্লাহ অফিস ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন ইউসুফ, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন।
জনরোষ থেকে বাঁচাতেই সরকার লতিফকে গ্রেফতার করেছিল: জনরোষ থেকে বাঁচাতেই সরকার আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছিল বলে অভিযোগ করেছে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে খেলাফত নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র হজ্ব ও মহানবীর(সা.) অবমাননাকারী কুখ্যাত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিয়ে সরকার তাওহিদী জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেন, কুখ্যাত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অনতিবিলম্বে পুনরায় গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি দিতে হবে। তা না হলে তাওহিদী জনতার ক্ষোভ আর তীব্র আন্দোলনের মুখে নাস্তিক-মুরতাদদের সঙ্গে তাদের মদদদানকারীরাও দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হবে।
অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করতে হবে : জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শায়েখ আব্দুল মমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব মুফতী মোহাম্মদ ওয়াক্কাস মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে জামিনে মুক্তি প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার এবং বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামকে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করার কথা কল্পনাও করা যায় না। বাংলাদেশের সংবিধান দেশের প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় বিশ্বাস লালন ও সংরক্ষণের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে বলতে হয় এক শ্রেণীর মানুষ ইসলামকে হেয়প্রতিপন্ন করাকে তাদের কর্তব্য বানিয়ে নিয়েছে এবং সরকার পরোক্ষভাবে তাদেরকে মদদ যুগিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button