সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে ১৫৫ কোটি টাকা দিবে বিশ্বব্যাংক
বিশ্ব ব্যাংকের মিউনিসিপ্যাল গভর্নেস সার্ভিসেস প্রজেক্টের (এমজিএসপি) আওতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫ বছর মেয়াদে ১৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই প্রজেক্টের আওতায় আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান প্রিপারেশন’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে এমজিএসপি এর টাস্ক টিম লিডার ক্রিস্টোফার পাবলো এই তথ্য জানান।
সিলেট নগরীর রোজভিউ হোটেলে আয়োজিত এই ওয়ার্কশপে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার পাবলো আরও জানান, ‘বিশ্বব্যাংক এমজিএসপি প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশে কর্পোরেশন ও পৌরসভা মিলিয়ে ২৬টি জায়গায় উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাংক এই প্রজেক্টের আওতায় সিলেট নগরীর বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে কাজ শুরু করেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে বিশ্ব ব্যাংকের এমজিএসপি প্রজেক্টে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে যা সিলেটের জন্য ইতিবাচক সংবাদ।’
‘সিটি কর্পোরেশনের পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও কাজের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিয়েও এই টিম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে এনামুল হাবীব বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দাতা সংস্থাও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে আরও উৎসাহিত হবেন বলে আমরা আশাবাদী। এমজিএসপি প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ইটেন্ডারিং সিস্টেম চালু করা হবে’- বলেও জানান তিনি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নুর আজিজুর রহমান জানান, ‘এমজিএসপি প্রজেক্টের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।’ চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এমজিএসপি এর আওতায় প্রায় ২৮ কোটি টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘এই প্রজেক্টের আওতায় প্রাথমিকভাবে রাস্তা তৈরী ও সংস্কার, ড্রেন নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এই কাজের পরিসর বৃদ্ধি হবে।’
ওয়ার্কশপে এমজিএসপি প্রকল্প নিয়ে প্রেজেন্টেশন করেন বিশ্ব ব্যাংক কর্মকর্তা ঈশিতা আলম অবনী। পরে অংশগ্রহনকারীরা সিলেটের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এসব সমস্যা সমাধানে কী ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা যেতে পারে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। -বাসস