খাদিজা শামিমা এখন আইএস’র সহধর্মিনী
আলোচিত সেই তিন ব্রিটিশ কন্যার দুজন আইএসের দুই যোদ্ধাকে বিয়ে করেছেন। পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমিতে পড়াশোনা করতেন খাদিজা সুলতানা (১৬), শামিমা বেগম (১৫) ও আমিরা আবাসি (১৫) নামের এই তিন কিশোরী, যারা পরস্পরের বন্ধু। তাদের মধ্যে খাদিজা ও শামিমা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।
গত ফেব্রুয়ারিতে তারা একসঙ্গে লন্ডন ছেড়ে উড়াল দেন তুরস্কে। সেখানকার ইস্তাম্বুল থেকে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করেন সিরিয়ায়।
তাদের পারিবারিক আইনজীবী বলেছেন, সিরিয়ায় গিয়ে তাদের দুজন বিয়ে করেছেন আইএস যোদ্ধাদের। তিন বান্ধবীর মধ্যে দুজনের সঙ্গে তাদের পরিবারের যোগাযোগ রয়েছে। তারা পরিবারকে জানিয়েছে, দায়েশের প্রতি অনুগত ও সিরিয়ার রাকা শহরে বসবাসকারী দুই ব্যক্তিকে তারা বিয়ে করেছেন। তবে তিন বান্ধবীর মধ্যে কোন দুজন বিয়ে করেছেন তা শনাক্ত করা যায়নি।
পরিবারগুলোর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাসনিম আখুঞ্জে। তিনি বলেছেন, এ খবরে এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছেন তারা। ওই বালিকারা যে ব্রিটেনে ফিরে আসবে সে আশা আস্তে আস্তে ক্ষীণ হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, যে দুই টিনেজ বিয়ে করেছেন তাদের যুবকদের একটি ক্যাটালগ দেয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তারা ২০ বছর পেরুনো বর খুঁজে নিয়েছেন। তাদের বিয়েতে আইএসের রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, দু’এক মাস আগে তাদের এক সহপাঠী সিরিয়া গেছেন। তারা সেই পথ অনুসরণ করেছে। একই স্কুলে অধ্যয়নরত এ চারটি টিনেজ মেয়ে সিরিয়া যেতে পারে এমন আশঙ্কায় আদালত থেকে বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। তবে তাদের পরিবারকে এমন ঝুঁকির কথা জানানো হয়নি বলে পুলিশকে দোষারোপ করছেন তারা। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বিশ্বাস করে প্রায় ৬০০ বৃটিশ নাগরিক সিরিয়া ও ইরাকে আইএসে যোগ দিয়েছে।