ইসলাম নির্ভীক করেছে জার্মানির তরুণ ফুটবল প্রতিভাকে
ড্যানি বাম জার্মানির নতুন তরুন ফুটবল প্রতিভা। সম্প্রতি তার ইসলাম গ্রহণ ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ইসলামের মধ্যে তিনি আশা আর শক্তি পেয়েছেন। এ কারণেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন।চলতি বছরই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
২৪ বছর বয়স্ক ড্যানির ফুটবল প্রতিভা নিয়ে কারো কোনো সংশয় ছিল না। তবে সমস্যা ছিল তার মেজাজ-মর্জি। খুব সহজেই তিনি রেগে যেতেন। কাউকেই পরোয়া না করার মনোভাব ছিল তার মধ্যে। তার মধ্যে আশা আর সাহসের অভাব ছিল। ইসলাম গ্রহণের ফলে এ দুটি তিনি পেয়েছেন।
গত জুলাইয়ে তিনি ব্যাভারিয়ার এফসি নুর্নবার্গে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন ক্লাবে তার সূচনাটি খুব ভালো হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই হাঁটুর ইঞ্জুরি পড়েন। বাধ্য হন ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে।
এমন এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া ধর্মটিতে নিজের নাম লেখান।
তিনি ইসলাম গ্রহণের আগের সময়ের অনুভূতি এভাবে প্রকাশ করেছেন, বাস করতেন বিলাসময় জীবনে। প্রতিটা ছুটির দিন সতর্কতা সৃষ্টি করত। কোনো দায়দায়িত্ব ছিল না। তাহলে অবসরগ্রহণের পর কী ঘটত?
বন্ধুদের সাথে আলাপ-আলোচনার পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি একটা মসজিদে গিয়ে সাথে সাথেই বুঝতে পারি, আমার ঠিকানা এটাই। আমি আরো কিছু জানতে চাই।
তিনি ধর্মটি গ্রহণ করেছেন মনে-প্রাণে। ধর্মান্তরের পর থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন, হালাল খাবার খাচ্ছেন।
মা-বাবাকে এই পরিবর্তনের কথা জানাতে গিয়ে প্রথমে তিনি বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা নিবেদিতপ্রাণ খ্রিস্টান। তবে তারা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াননি। তারা তাকে বলেছেন, যদি এটাই হয় আমার পথ, তবে আমার বিশ্বাস ঠিকই আছে।’
ড্যানি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমার বিশ্বাস বলে : এখানে জবরদস্তির কোনো অবকাশ নেই। আমি মনে করি, ইসলাম গ্রহণ করা উচিত মন থেকে।’
জার্মানিতে প্রায় ৪০ লাখ মুসলমান মাস করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কেবল বার্লিনেই বাস করে দুই লাখ ২০ হাজার। মুসলমানদের দুই তৃতীয়াংশই তুর্কি।