উইঘুর মুসলিমদের পক্ষে ফুঁসে উঠছে তুরস্ক

113752_1চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের নিপীড়িত উইঘুর মুসলিমদের পক্ষে ফুঁসে উঠছে তুরস্কের জনগণ।

এর আগে ইস্তাম্বুলে চীনা নাগরিক ভেবে দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকদের ওপর হামলার পর বুধবার রাতে আবার ইস্তাম্বুলের থাই কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে তুর্কি বিক্ষোভকারীরা।

থাইল্যান্ড থেকে ১০০ উইঘুরকে চীনে প্রত্যার্পণের প্রতিবাদে এ হামলার সময় দূতাবাস কম্পাউন্ড তছনছ করে বিক্ষোভকারীরা।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোও থাইল্যান্ড সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলছে, উইঘুররা চীনে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

থাই সরকারর বৃহস্পতিবার স্বীকার করে যে থাইল্যান্ড থেকে নির্বাসিত ১০০ উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনের বৈষম্যমূলক আচরণে তুরস্ক ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে। উইঘুর মুসলিমরা নৃতাত্ত্বিকভাবে তুর্কি বংশোদ্ভূত।

ফেবসুকে এক বিবৃতিতে রাজকীয় থাই দূতাবাস বলেছে, বুধবার মধ্যরাতে বিক্ষোভকারীরা ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটের ভেতরে ঢুকে অফিসের দরজা ও অন্যান্য সম্পদের ক্ষতিসাধন করে।

বিবৃতিতে, তুর্কিদের সাথে উইঘুর ইস্যুতে বিতর্কে না জড়াতে এবং তুরস্কে অবস্থানকালে থাইল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক বা পতাকা পরিহার করার জন্য থাই নাগরিকদের উপদেশ দেয়া হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা

তুরস্ক উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের নিপীড়নের ক্রমবর্ধমান প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং দেশটিতে চীনা পর্যটকদের ওপর বিচ্ছিন্ন হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ইস্যুতে দুটো দেশের সম্পর্কেও তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে।

তুরস্কে সর্বশেষ চীনা বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে ওঠে চীনে মুসলিমদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করার পর।

চীন অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা মুসলমানদের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

গত ১০ দিন ধরেই তুরস্কে চীন বিরোধী মনোভাব ফুঁসে উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা চীনা পতাকায় আগুন দিচ্ছে, চীনা রেস্তোরাঁ ও চীনা পর্যটক মনে করে অন্য নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

উইঘুর মুসলিমদের সাথে তুরস্কের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন বেশ জোরালো।

গত সপ্তাহে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর তুর্কদের রোজা রাখা ও অন্যান্য ধর্মীয় নির্দেশ পালন নিষিদ্ধ করার খবরে আমাদের জনগণ মর্মাহত।’

এর জবাবে চীন দাবি করেছে, রোজা রাখা নিষিদ্ধ করার খবর পশ্চিমা মিডিয়ার অতিরঞ্জন। চীনে ধর্মাবলম্বী ও অধার্মিকদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা হয় না।

জিনজিয়াংয়ের জনসংখ্যার ৪৫% উইঘুর মুসলিম, ৪০% হান চীনা। তবে চীন সরকার এখানকার জনবিন্যাসে পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উইঘুররা বলছেন, চীনা আগ্রাসনে তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button