পরিদর্শনের পর ৩৪ গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ

Garmentsবাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহায়তায় এক হাজার গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা মান যাচাইয়ের পর এ পর্যন্ত ৩৪টি কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এছাড়া এক তৃতীয়াংশ কারখানায় আরও বিভিন্ন রকম সমস্যা চিহ্ণিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ত্রি-পক্ষীয় এক কর্মপরিকল্পনার আওতায় এক হাজার গার্মেন্ট কারখানায় এই নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করেছে। কারখানা সংস্কারে ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের আওতার বাইরে থাকা এগুলো মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের পোশাক কারখানা। বুয়েটের হয়ে এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন অধ্যাপক মেহেদী আলম আনসারী। তিনি বলছেন, “পর্যবেক্ষণের পর মনে হয়েছে বিশটির মতো কারখানা এখনি সংস্কার না করা হলে রানা প্লাজার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে”। মোট ভবনের মধ্যে ২৩শতাংশ খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। বাকীগুলো মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে। সব মিলিয়ে তিরিশ শতাংশের মতো ভবনে কাজ করতে হবে”। বাংলাদেশ সরকারের কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ বলছেন পর্যবেক্ষনকালে তারা ভবনের কাঠামো, অগ্নিনির্বাপনী ব্যবস্থা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার বিষয়টি যাচাই করে দেখেছেন। তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত বন্ধ করতে হয়েছে ৩৪ টি। বাকীগুলো মেরামত করলে ঠিক মতো ২০/৩০ বছর কারখানা হিসেবে ব্যবহার করতে কোন সমস্যা হবেনা”। মিস্টার আহমেদ বলছেন কারখানা পর্যবেক্ষণের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর একটি পাইলট কর্মসূচির মাধ্যমে আইএলও সহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিয়ে কারখানাগুলো সংস্কারের কাজগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button