লেবাননের শরণার্থী শিবিরে মালালার স্কুল
লেবাননের বেকা উপত্যকার একটি শরণার্থী শিবিরে গিয়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ালেন নোবেল বিজয়ী কিশোরী মালালা।
সদ্য কৈশোর পেরনো মালালার হাত ধরেই দু’শো উদ্বাস্তু কিশোরীকে নিয়ে সূচনা হল একটি স্কুলের। লেবাননে স্কুলটি উদ্বোধন করার সময় শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ‘বুলেটে বিনিয়োগ না করে বই’-এ বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রজাপতি দিয়ে সাজানো স্কুলকক্ষে মালালা বলেন, আমি লেবাননে এসেছি, কারণ আমি বিশ্বাস করি সিরিয়ার শরণার্থীদের দু:খের কথা সারা বিশ্বের জানা উচিত। বহুদিন ধরে তাদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে। মালালা আরো বলেন, আজ প্রাপ্তবয়স্কের তালিকায় আমার নাম উঠলো। সিরিয়ার সীমান্তে লেবাননের বেক্কা উপত্যাকায় চালু করা এই স্কুলটি চলবে মালালা ফান্ডের মাধ্যমে।
‘দ্য মালালা ফান্ড’ নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি এই স্কুলটি চালু করেছে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২০০ মেয়ে এই স্কুলটিতে পড়তে পারবে।
১৮- তে পা দিল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই পাকিস্তানি কন্যা অনেকটা সাদামাটা ভাবেই পালন করলেন আনন্দের এই দিনটি।
রোববার ছিল মালালার ১৮তম জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটা সিরিয়ার সীমান্তে কাটালেন তিনি। মালালা ইউসুফজাই ১২ জুলাই ১৯৯৭ পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় জন্মগ্রহণ করেন।
পাকিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রিত সোয়াত উপত্যকায় নারী শিক্ষার পক্ষ নেয়ায় তালেবানের রোষানলের শিকার হন মালালা। স্কুলে যাওয়ার পথে জঙ্গিরা তাকে বাস থেকে নামিয়ে মাথায় গুলি করে।
২০১২ সালে গুরুতর এই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ তাকে ভারতের কৈলাশ সত্যার্থীর সাথে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।