ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ টেস্ট : ৬৪ বার পরীক্ষা দিয়েও ফেল

৬৪ বার ব্রিটিশ সিটিজেটশিপ টেস্ট দিয়েও ফেল করেছেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনা ব্রিটিশ সিটিজেনশিফ টেস্টের উদারতা নিয়ে নতুন বিতর্ক তুলেছে। বলা হচ্ছে, এক ব্যক্তি কতবার এইটেস্ট দিতে পারবেন তার একটি সীমা থাকা উচিৎ। আবার কেউ যদি ফেল করেন তাহলে কতদিন পর আবার পরীক্ষা দেয়া যাবে সেই বিষয়টিও নির্ধারিত থাকা উচিত। গত ৬ জুলাই সোমাবার ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ টেস্ট নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে দি সান। এতে বলা হয়, ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ টেস্ট দেয়ার নির্দিষ্ট কোনো সীমা উল্লেখ নেই। পাশ না করা পর্যন্ত যতবার খুশি এই পরীক্ষা দেয়া যায়। যার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৪ বার এই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
ইমিগ্রেন্টরা নির্দিষ্ট কিছূ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ব্রিটেনের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই পাসপোর্ট পাওয়ার এই আবেদন করতে হলে ‘ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ টেস্ট’ নামে একটি পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে হয়। ২০০৫ সালের লেবার সরকার সর্বপ্রথম ওই টেস্ট চালু করে। ৪৫ মিনিটের এই টেস্টে মোট ২৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ২০১৩ সালে ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এতে দেখা যায়, ৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী এক দফাতেই পাশ করে ফেলছেন। মূলত এক জনের পরীক্ষা অন্যজনকে দিয়ে  সম্পন্ন করে কিংবা পরীক্ষার হলে উত্তরপত্র সরবরাহের মত ঘটনা ঘটতো। এই অনিয়মের খবর টের পাওয়ার পর সরকার সিটিজেনশিপ টেস্টে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। পরীক্ষার বিষয়বস্তুতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। আগে ব্রিটেনে জীবনযাপনের ওপর বাস্তবধর্মী বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষা করা হতো। এখন ব্রিটেনের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সংগীত এবং ঐতিহ্যের মত বিষয়গুলোকে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
৬৪ বার পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ সম্পর্কে কনজারভেটিভ দলের এমপি ফিলিপ ডেভিস বলেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিটেন যে সিটিজেনশিপ দেয়ার ক্ষেত্রে এখনো বেশ উদার রয়ে গেছে এটা তারই প্রতিচ্ছবি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button