৪ পাউন্ডের ট্রেইন টিকেটের মূল্য ৬৫০ পাউন্ড !
তিন বছর আগে বিণা টিকিটে ট্রেইন চড়ে এখন খেসাড়ত দিচ্ছে বার্মিংহ্যামের এক তরুনীকে। তরুনীর নাম আয়শা খান। বয়স ২১ বছর। বার্মিংহ্যামের আশপাশেই ট্রেইনে ভ্রমণ করেছিলেন। ভুলবশত টিকিট কাটেননি। বিণা টিকিটে ট্রেইন চড়ায় জরিমানা হতে পারে বলে তখন সতর্ক করেছিলেন টিকিট কালেক্টর। এরপরে আসে পেনাল্টি নোটিশ। প্রায় তিন বছর আগে মায়ের সঙ্গে থাকতেন এবং বয়সও কম ছিলো। তাই মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে জরিমানার নোটিশটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। এর কিছুদিন পর আয়শা অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। আর এদিকে মায়ের ঘরের ঠিকানায় আয়শা খানের নামে কোর্ট থেকে অনরবত চিঠি আসতে থাকে। মা তা খুলেও দেখেননি। একের পর এক আয়শার নামে চিঠি পাঠানোর পর কোনো ধরনের সাড়া না পেয়ে কোর্টের পক্ষ থেকে বিষয়টি ব্যালিফে হস্থান্তর করা হয়। গত মঙ্গলবার ব্যালিফ থেকে হাতে হাতে আয়শার মায়ের ঘরে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠি পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান আয়শা খানের মা শ্যারন ব্রাউন।
৪ পাউন্ডের টিকিটের ফাইন হলো সাড়ে ৬শ পাউন্ড। শুধু তাই নয়। যতোবার ব্যালিফ আসবে ততবার আরো ৩শ পাউন্ড করে তাতে যোগ হবে। চলতি মাসের মধ্যে সাড়ে ৬শ পাউন্ড পরিশোধ করতে না পারলে ব্যালিফ এসে ঘরের যে কোনো আসবাবপত্র নিয়ে যাবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। আয়শার মা শ্যারন ব্রাউন ইস্যুটি নিয়ে সিটিজেন এডভাইস ব্যুরোর মাধ্যমে বার্মিংহ্যাম ম্যাজিস্ট্রেই কোর্টে যোগাযোগ করেছেন। কোর্ট থেকে কিস্তিতে সেই অর্থ পরিশোধের প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন তিনি।
এ বিষয়ে আয়শা খান জানান, তিনি বিণা টিকিটে বার্মিংহ্যামের নিউ স্ট্রীট থেকে ট্রেইনে উঠে ছিলেন প্রায় ৩ বছর আগে। তখন টিকিট কালেক্টর তাকে সতর্ক করেছিলেন যে, তাকে সম্ভবত জরিমানা করা হবে। জরিমানার পরিমাণ ছিলো ৩০ থেকে ৪০ পাউন্ডের ভেতরে। জরিমানার চিঠি পেয়ে তা ভয়ে লুকিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। এরপর তিনি মায়ের ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতে শুরু করেন। আর মধ্যেই একের পর এক চিঠি আসতে থাকে বলে জানান তিনি। ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বরের একটি চিঠিতে, ভ্যালিড টিকিট দেখাতে না পারার কারণে আয়শাকে দোষি সাব্যস্ত করে ৩শ ৪৩ দশমিক ৩০ পেন্স পরিশোধের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেইট। জরিমানার চিঠিকে কিছুটা অবেহলা করেছিলেন বলেও জানান আয়শা। এ কারণে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।