‘থেরেসা মে বন্দিদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন’

Teresa Mayতিনটি সুনির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সেক্রেটারি থেরেসা মে বন্দিদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে ব্রিটেনের আদালত বলেছেন, অন্যায়ভাবে এসব মানবপাচারের শিকারদের গ্রেফতার করে তাদেরকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সোমবার হাইকোর্ট তাদের এক রায়ে এমন কথাই বলেছেন।
এসাইলাম প্রার্থী এমন তিনজন যাদেরকে কোর্ট বলছেন অন্যায়ভাবে আটক করে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাদের এসাইলাম আবেদন প্রত্যাখানের সিদ্ধান্তও ন্যায্য হয়নি। তাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানে হোম সেক্রেটারি ব্যর্থ হয়েছেন বলেও হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২২ বছর বয়সী আলবেনিয়ান নারী যিনি মানব পাচারের শিকার তাকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে।
৪৯ বছর বয়সী নাইজেরিয়ান নারী যার সঙ্গে জোর করে তার স্বামীর বন্ধু পূর্ণ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এবং নাইজেরিয়ান এক ছেলে যাকে জন ফ্যাশানো ফাউন্ডেশন প্রোগ্রামের অধীনে স্পোর্টস ভিসার আওতায় ব্রিটেনে আনা হয়েছে। তাকে টর্চার, ধর্ষণ এবং পাচার করা হয়েছে, এমন তিনজনের মামলা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলে তা গ্রহণ করা হয় এবং এদের মানবপাচার রোধসহ তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরা হয়।
থেরেসা মে স্বীকার করেছেন, তিনি মানবপাচার এর ভিক্টিমদের আইডেন্টিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাদের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সহ পুলিশের কাছে রেফারেল এবং ডিটেইন্ড ফার্স্ট ট্র্যাক করতে অবহেলার শিকার হয়েছে।
বর্তমান ফার্স্ট ট্র্যাক প্রসিডিউরে এসাইলাম সিকার যাদের আবেদন বিবেচনা করা হয় মূলত এই সিস্টেমে তাড়াতাড়ি, যেখানে প্রায়ই তাদের নিজ দেশের অবস্থানের উপর বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তাদের আটক রাখা হয় সেন্টারে যতক্ষন না তাদের আবেদনের ডিটারমাইন্ড করা হয়।
হাইকোর্টের বিচারক সোমবার তার রায়ে এদের আটকের ব্যাপারে বলছেন সেটা অন্যায় ভাবে থেরেসা মে করছেন। এই তিনজনের মধ্যে দুজনের পক্ষে হাইকোর্টে লড়েন স্টিফেন হ্যারিসন কিউসি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button