জনগণের ওপর ব্যাপক নজরদারি বিল পাস করলো ফ্রান্স
মানবাধিকার সংগঠনগুলির সমালোচনা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত জনগণের ওপর ব্যাপক নজরদারি সংক্রান্ত বিলে অনুমোদন দিল ফ্রান্সের সাংবিধানিক আদালত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়ার এ বিলটি বৃহস্পতিবার অনুমোদন দেয়া হয়।
গত মার্চে ফরাসি বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোতে সন্ত্রাসী হামলার পর ব্যাপক নজরদারির বিলটি প্রস্তাব করা হয়। বিলটিতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে ফরাসি জনগণের ওপর ব্যাপক নজরদারির অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং এজন্য তাদের ওপর কোন ধরণের দায় বর্তাবে না। সংস্থাগুলি জনগণের ফোন কল রেকর্ড, বাসা কিংবা অফিসে লুকানো ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন বসানো, ব্লাক বক্স ব্যবহারের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের ওপর নজরদারির জন্য ইন্টারনেট সংযোগদানকারীদের বাধ্য করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এমনকি নিরপত্তা কর্মকর্তারা চাইলে কারো কম্পিউটার হ্যাকও করতে পারবে। এর জন্য আদালতের কোন ধরণের পরোয়ানা কিংবা অনুমতি লাগবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় সংস্থাগুলি যে কারো ওপর এ নজরদারি চালাতে পারবে।
বিলটি অনুমোদন পাওয়ার পর ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘এখন থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ফ্রেমওয়ার্ক পেল ফ্রান্স, যা স্বাধীনতাকে সম্মান জানাবে। এটা নিস্পত্তিমূলক অগ্রগতি।’
এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ১৮ কমিটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বিলটিতে ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে নজরদারির যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা অতিরিক্ত পরিমাণে বিস্তৃত।
এতে বলা হয়, বিলটিতে বিস্তৃত ও বাজেভাবে সংজ্ঞায়িত করার ওপর ভিত্তি করে ব্যাপক হারে অনধিকারমূলক নজরদারির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে যে কোন ধরণের হস্তক্ষেপের সময় যেন বৈধতা, আনুপাতিকতা ও প্রয়োজনীয়তার নীতি অনুসরণ করা হয় সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য বিবৃতিতে ফরাসি সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।