প্রাচীন পাণ্ডুলিপির পাতা উদ্ধারে প্রমাণিত হলো কুরআন অপরিবর্তিত
ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাপ্ত প্রাচীন কুরআনের পাণ্ডুলিপির কয়েকটি পাতা পাওয়া গেছে যা ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের সময়কার বলে কার্বন পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। কুরআনের এই পাতাগুলোতে লিখিত সুরা মারইয়াম ও তাহা’র অংশবিশেষ যা বর্তমান কুরআনের সাথে হুবহু মিল রয়েছে। এটা হয়ত গবেষক বা পাঠকদের চোখের আড়ালেই থেকে যেত। গবেষক আলবা ফাদেলী বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ডক্টরেট গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে রক্ষিত প্রাচীন পাণ্ডুলিপি ঘাটতে গিয়ে কুরআনের এই পাতাগুলো দেখতে পান। প্রায় একশ বছর আগে মিংগানা কালেকশন হিসেবে এগুলো লাইব্রেরিতে পড়ে ছিল। তিনি সন্দেহ করেন এর প্রাচীন ক্যালিগ্রাফিক ফন্ট দেখে। এজন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানালে তারা রেডিওকার্বন পরীক্ষায় পাঠান। এতে প্রমাণ হয় এটি ১ হাজার ৩শ ৭০ বছরের প্রাচীন।
গবেষকরা বলছেন, এটি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের সময়ে লিখিত বলে তাদের ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্ম বিষয়ক অধ্যাপক ডেভিড টমাস বলেছেন, এর অর্থ হল এই পাণ্ডুলিপি রচিত হয়েছিল ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের কয়েক বছরের মধ্যেই। ব্রিটেনে প্রাপ্ত কুরআনের পাতাগুলো ইসলামের মত প্রাচীন।
তিনি আরো বলেছেন এই পাণ্ডুলিপির রচয়িতা হয় নবী মোহাম্মদের সাক্ষাৎ সংস্পর্শে এসেছিলেন নয়ত সরাসরি তাঁর মুখ থেকে বাণী শুনেছিলেন এমন সম্ভাবনা খুবই প্রবল।
তিনি আরও বলেন, কুরআন যে রাসূলের সময়ই গ্রন্থাকারে লিখিত হয়েছিল তা এই আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রমাণিত এবং কুরআনে এর সংরক্ষণের যে ঘোষণা আছে, তারও প্রমাণ মিলল।
কিং ফয়সাল সেন্টারের ড. সারহান বলেন, কুরআন যে অপরিবর্তিত, তা এই পাতাগুলির মাধ্যমে পুনরায় প্রমাণিত হলো।
লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরির পারসিয়ান ও টার্কিশ বিভাগের কিউরেটর মুহাম্মদ ইশা ওয়েলি বলেন, এটা ”দারুণ উত্তেজনাময়” একটি আবিষ্কার। এটা হিজাজী লিপিতে লেখা যা প্রথম তিন খলিফার সময়ে কুরআনের লিপি ছিল।