বার্কলেস কাস্টমারদের তথ্য ইউএসবি স্টিকের মাধ্যমে চুরি
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ: ব্রিটেনের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বৃহৎ ব্যাংক বার্কলেসের ৩০,০০০ কাস্টমারদের ব্যাংক একাউন্ট হিসাব, কাস্টমারদের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যবসায়িদের ব্যাংক একাউন্ট তথ্য গত ৭ বছর ধরে ইউএসবি স্টিকের মাধ্যমে চুরি হয়ে আসছে। পুলিশী তদন্তে চুরি করা ডাটার এই ইউএসবি স্টিক হস্তগত হওয়ার পর পুলিশ নিশ্চিত কাস্টমারদের তথ্য এভাবে স্টিকের মাধ্যমে বার্কলেস ব্যাংক থেকে চুরি বা বাইরে পাচার হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এভাবে ২০০৮ সাল থেকে কাস্টমারদের ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য, তাদের বেতন, আয় সব কিছু সহ চুরি হয়েছে বলা যায়, স্টিকের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণিত।
বার্কলেসের একজন মুখপাত্র এব্যাপারে স্বীকার করেছেন, তাদের কাস্টমারদের ডাটা এভাবে চুরি হচ্ছে, সেজন্যে তারা কাস্টমারদের কাছে এপোলজি সহ কম্পেনসেশন অফারও করেছেন এবং জানা গেছে ২৫০ পাউন্ড পর্যন্ত অফার করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে তদন্তের সময়ে ইউএসবি স্টিক না পাওয়া গেলেও সেপারেট তদন্তে ইউএসবি স্টিক পাওয়া গিয়েছে, যা বার্কলেসও বলছে ২০০৮ সাল থেকেই তাদের ডাটা চুরি হচ্ছে এভাবে।
গত বছর ২০১১ সালের বিজনেস প্ল্যানিং সহ ডাটা এভাবে চুরি হয়ে যাওয়ার পর বার্কলেস সেই তথ্য সিজ করেছিলো, ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময় ২০০৮ সালের কাস্টমারদের তথ্যও চুরি হয়েছিলো।
বার্কলেসের মুখপাত্র আরো বলেন, তারা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল এবং কাস্টমারদের কাছে শুধু ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা কম্পেনসেশনই নয়, তারা এ ফ্রডের ব্যাপারে সচেতন এবং মনিটরিং করছেন, যাতে এ ভাবে চুরি রোধ করা যায়।
আজকের এই চুরি যাওয়ার সংবাদের বার্কলেসের লাখো কাস্টমারদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের নতুন নতুন বিজনেস প্ল্যান এবং যাবতীয় পরিকল্পনা ফ্যাইন্যান্সের সাথে বার্কলেসে জমা আছে, যা চুরি হয়ে গেলে কোন ভাবেই সে ক্ষতি কাঠিয়ে উঠতে পারবেননা। আবার অনেকে ব্যবসায়ের একাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিলে শেয়ার মার্কেট সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ক্ষতির সম্মুখিন হবেন, সেটা নিয়েও রয়েছে উৎকণ্ঠা। আবার বার্কলেসের মতো বিশ্বখ্যাত ব্যাংকিং জায়ান্ট ২০০৮ সাল থেকে কাস্টমারদের ডাটা চুরি প্রটেক্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে- এমন সংবাদে ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে দেখা দিয়েছে আলোচনা সমালোচনা।