লন্ডন মাতিয়ে বোল্টের হুংকার আমিই সেরা
পড়তি ফর্ম ও চোট মিলিয়ে তাকে ঘিরে যে শংকার মেঘ জমেছিল, প্রত্যাবর্তন রেসেই তা উড়িয়ে দিলেন উসাইন বোল্ট। গতির ঝড়ে আবারও লন্ডন মাতিয়ে জ্যামাইকার সোনাঝরা বিদ্যুৎ সদম্ভে হুংকার ছাড়ছেন, ‘কখনোই আমি দুই নম্বর ছিলাম না। এখনও আমি এক নম্বর। অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত এক নম্বরই থাকব।’ ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ত্রিমুকুট জিতেছিলেন বোল্ট। অলিম্পিকের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত লন্ডন ডায়মন্ড লীগ মিটে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আবারও চ্যাম্পিয়ন বোল্ট। শুক্রবার লন্ডনের বৃষ্টিভেজা ট্র্যাকে ৯.৮৭ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন এই গ্রহের দ্রুততম মানব।
কোমরের ইনজুরির কারণে প্রায় ছয় সপ্তাহ ট্র্যাকের বাইরে ছিলেন বোল্ট। ফর্মও ছিল নিুমুখী। এবছর ১০০ মিটারে তার সেরা টাইমিং ছিল ১০.১২ সেকেন্ড। বোল্ট যখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন, তখনই নবরূপে হাজির হন জাস্টিন গ্যাটলিন। ডোপ পাপে দু’বার নিষিদ্ধ হওয়া এই মার্কিন অ্যাথলেট ৩৩ বছর বয়সে যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। ১০০ মিটারে টানা ২৭টি রেস জিতে আগামী মাসে বেইজিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বোল্টকে সিংহাসনচ্যুত করার হুমকি দিয়েছেন গ্যাটলিন। ভক্তদের নির্ভার করে সেই চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবেই গ্রহণ করলেন বোল্ট। পরশু লন্ডন মিটে হিটের মতো ফাইনালেও ৯.৮৭ সেকেন্ড টাইমিং করেন বোল্ট। শুরুটা ভালো না হলেও শেষ দশ মিটারে স্বপ্নের দৌড়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দেন স্প্রিন্টের রাজা। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর ১০০ মিটারে এটাই বোল্টের সেরা টাইমিং। লন্ডনের এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য বোল্টের মূল তিন প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাটলিন, আসাফা পাওয়েল ও টাইসন গে ছিলেন না। অতীতের ডোপ কলংকের কারণে লন্ডন মিটে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি গ্যাটলিনকে। ৯.৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন আরেক মার্কিন অ্যাথলেট মাইকেল রজার্স। তৃতীয় হয়েছেন বোল্টের স্বদেশী বেইলি কোল।
বোল্টের ৯.৮৭ সেকেন্ড এ বছরের ষষ্ঠ সেরা টাইমিং। বছরের সেরা চারটি টাইমিং এখনও গ্যাটলিনের দখলে। ফলে বেইজিং চ্যাম্পিয়নশিপে বোল্ট যে এখনও চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে তা বলার অক্ষো রাখে না। তবে গ্যাটলিনের হুমকিকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না বোল্ট, ‘আমার মনে হয় না যে সে আমার রেকর্ড ভাঙতে পারবে। কারও হুমকিতে আমি ভয়ও পাই না। বেইজিংয়ের আগে নিজের আÍবিশ্বাসটা শুধু ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি। শুরুটা খারাপ না হলে টাইমিং আরও ভালো হতো। তবে সব মিলিয়ে আমি খুশি।’
ওদিকে ৩০০০ মিটার দৌড়ে বছরের সেরা টাইমিং করে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন লোকাল হিরো মো ফারাহ।