মেঘ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করবে আরব আমিরাত
এবার মেঘ থেকে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করবে মরুভূমির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। পানযোগ্য পানির চাহিদা পূরণে অনেক আগে থেকেই বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে আসছে দেশটি। সম্প্রতি, পানির চাহিদা আরও বেড়ে যাওয়ায় মেঘ থেকে কৃত্রিম উপায়ে পানি সংগ্রহ করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা। দেশটির ভূখণ্ডে যে কোনো জায়গায় খনন করলেই বেরিয়ে আসে মূল্যবান তেল। হাজার ফুট গভীরেও পানির দেখা নেই। ফলে মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিন্দু বিন্দু পানিই এখন তাদের একমাত্র ভরসা।
তেল সম্পদে ভরপুর এ দেশটি বরাবরই বিলাসবহুল অট্টালিকা আর আরাম আয়েসের দরুণ আলোচিত হয়ে আসছে। এবার, বিশেষ প্রক্রিয়ায় মেঘ থেকে পানি সংগ্রহ করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে আরব আমিরাত। পানি সংগ্রহ করতে একটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করছে তারা। এ জন্য নেয়া হয়েছে এক বিশাল প্রকল্প। এ প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া ও ভূকম্পন কেন্দ্র (এনসিএমএস)। শনিবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। পানি সংগ্রহের এ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে আকাশে ভেসে চলা মেঘ পুঞ্জীভূত করা হবে। এ জন্য ব্যবহার করা হবে দ্বি-চালকবিশিষ্ট বিচক্রাস্ট নামক বিশেষ যান। এনসিএমএসের নির্দেশ অনুযায়ী আকাশে উড়ে এ যান। ভাসমান মেঘের ভেতরে সল্ট ফ্লেয়ার নামক পদার্থ ছড়িয়ে দেয় ওই যানটি। এতে ঘনীভূত হয়ে আসে মেঘ। পরপরই অঝোর ধারায় ঝরতে থাকে বৃষ্টি। আর এ বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা হয় বিশেষ পাত্র ও জমা হয় কৃত্রিমভাবে তৈরি ১৩০টি বাঁধের কিনারে। আমিরাতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত পানি আসে তিনটি উৎস থেকে। এর মধ্যে ৩৩ ভাগ আসে লবণমুক্তকরণ প্রক্রিয়ায়। ৪৪ ভাগ আসে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে ও কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য ১৪ ভাগ পানি আসে পরিশোধিত বৈর্জ পানি থেকে। বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা অনেকদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছে দেশটি। কিন্তু তার পরিমাণ খুবই কম। বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত মাত্র ৭৮ মিলিমিটার। বৃষ্টির পানি সুমিষ্ট নিরাপদ ও কম ব্যয়ে আহরণ করা যায়। এজন্য নতুন উৎস হিসেবে মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরিয়ে তা সংগ্রহকে বেছে নিয়েছে আরব আমিরাত। তবে, এ চেষ্টা অনেক সময় ফলপ্রসূ হয় না।
এনসিএমএসের ডেপুটি চিফ মার্ক নিউম্যান বলেন, মেঘ বৃষ্টির উপযুক্ত করতে আমরা বিচক্রাস্ট কিং এয়ার সি ৯০ নামের বিশেষ আকাশযান কখনও চারটি কখনও বা দুটি উড়ানো হয়।