বাকিংহাম প্রাসাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সোমবার বাকিংহাম প্রাসাদে মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ডিউক অব ইয়র্ক, রাজকুমার অ্যান্ড্রু। একটি ছোট গাড়িতে, চিরাচরিত হাওয়াই চপ্পল পরেই মমতা সেখানে পৌঁছন। অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তাঁর ঘণ্টাখানেক বৈঠক হয়।
সেই বৈঠকে অ্যান্ড্রু পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান আর্থ-সামাজিক সমস্যা, রাজস্ব আদায় সমেত প্রশাসনিক নানা খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে চান। মমতা নিজেই পরে বলেন, তাঁর কাজের ধরন ও তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন অ্যান্ড্রু।
তিনি বলেছেন, ইউ আর ভেরি ডায়নামিক ! মমতার সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠকের পরে দু’তরফে আরও কথাবার্তা হয়। হাউস অব লর্ডসের স্পিকার-সহ ব্রিটিশ সরকারের কয়েক জন প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন। আর মমতার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কা, অভিনেতা-সাংসদ দেব প্রমুখ।
রাজকুমারকে নিজের আঁকা ছবি উপহার দেন মমতা। রাজপরিবারের শিশুদের জন্য ছিল কলকাতা থেকে আনা জামাকাপড়। অ্যান্ড্রু একটি ছবি ও স্কার্ফ উপহার দেন মমতাকে। মমতার সম্মানে রাজপ্রাসাদে একটি চা-চক্রের আয়োজন ছিল।
পরে মুখ্যমন্ত্রীকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন রাজকুমার। যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে অ্যান্ড্রু যুক্ত, কলকাতাতে তাদের কিছু কাজকর্ম আছে। মমতা কলকাতায় আসার জন্য অ্যান্ড্রুকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
প্রাসাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ মমতা তাঁকে বলেছেন, বাইরে থেকে বাকিংহাম প্রাসাদ দেখেছি। ছবিতেও দেখেছি। কিন্তু রাজপ্রাসাদের আমন্ত্রণে এখানে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে।
এ দিন দফায় দফায় পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন পর্ষদ এবং ব্রিটেন-ভারত বাণিজ্য পর্ষদের মধ্যে মোট ২২টি মউ সই করেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এর মধ্যে শিল্প সংক্রান্ত মউ ১১টি, স্বাস্থ্য ও উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত ৪টি করে মোট ৮টি, নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত ২টি এবং পরিবহণ সংক্রান্ত মউ ১টি।
মোট কত টাকার মউ স্বাক্ষরিত হল, জানতে চাওয়া হলে অমিতবাবুর জবাব, কিছু মউ বাণিজ্যিক হলেও বেশির ভাগই সামাজিক ক্ষেত্রে সহায়তা এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। ফলে টাকার অঙ্কে সেগুলিকে মাপা যাবে না।