সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি এহিয়া রেজার ইন্তিকাল
সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট তৎকালীন শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি এহিয়া রেজা চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ইন্তিকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।) মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ আছর নগরীর নয়া সড়ক জামে মসজিদে তার জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামায শেষে নয়াসড়কস্থ মানিকপীর (রহ.) মাযার প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়। মরহুম এহিয়া রেজা চৌধুরী কয়েক মাস ধরে লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন।
সিলেট প্রেস ক্লাব ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সধারণ সম্পাদক এহিয়া রেজা চৌধুরীর মৃত্যুতে পৃথক পৃথক বাণীতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহল। সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক পুণ্যভূমির সম্পাদক মুকতাবিস-উন্-নূর, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নায়েবে আমীর মো: ফখরুল ইসলাম ও হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল আহমদ, সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ও মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, সিলেট উত্তর জামায়াতের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, সেক্রেটারি মাওলানা ইসলাম উদ্দিন পৃথক পৃথক বিবৃতিতে মরহুম এহিয়া রেজা চৌধুরীকে একজন সজ্জন নির্বিবাদী ব্যক্তিত্ব আখ্যায়িত করে বলেন, আল্লাহরাব্বুল আলামীন যেন এই ভালো মনের মানুষকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন। পাশাপাশি তার পরিবারবর্গের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
তার মৃত্যুর খবর শুনে রাজনৈতিক সহকর্মী, ক্রীড়া সংস্থার সহকর্মীরা তার বাসায় চলে যান। বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সিলেট প্রেস ক্লাবে সাবেক সেক্রেটারির লাশ রাখা হয়। এ সময় ক্লাবের সভাপতি, সাবেক সভাপতিসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ এসে একনজর তাকে দেখে যান। পরে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাযে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সিলেট প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন পৃথক পৃথক শোক প্রকাশ করেছে।