তুরস্কে বাংলাদেশির হাতে বাংলাদেশি খুন
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে কর্মরত এক বাংলাদেশিকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন অপর এক বাংলাদেশি। খুন হওয়া মো. ফরিদ নামে ওই শ্রমিকের সঙ্গে গত শনিবার (২৫ জুলাই) রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার রুমমেট মুসার কথাকাটাটি হয়।
এরপর ফরিদ ঘুমিয়ে পড়লে রাত ২টার দিকে তার পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় মুসা। ফরিদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, তুরস্ক পুলিশ অভিযুক্ত মুসাকে আটক করেছে। এছাড়া তাদের আরো দুজন রুমমেটকেও আটক করা হয়েছে বলে ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট এবং স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত মুসার বাড়ি নরসিংদী জেলায় বলে জানা গেছে।
মৃত শ্রমিক ফরিদের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. বোরহান উদ্দিন।
এদিকে, ফরিদের মৃত্যুর খবরে শরীয়তপুরে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহতের ভাই মিজান বলেন, তার ভাইয়ের মৃত্যুতে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে। পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য তাকে ৪ বছর আগে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ করে ইরাকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ইউরোপে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে দালালরা তাকে তুরস্কে নিয়ে ছেড়ে দেয়। পথে ২ বার জিম্মি করে আরো ২ দফায় ৮ লাখ টাকা আদায় করে দালালরা। এসব দালালরাও ছিল বাংলাদেশি।
এভাবে সে বিদেশ যাওয়ার পর থেকে কয়েক দফায় মোট ১৫-১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ আমরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য ফরিদকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু দেশের মানুষের হাতেই তাকে প্রাণ দিতে হল। আমরা অপরাধীর বিচার চাই।
ফরিদের মৃতদেহ দেশে আনতে প্রায় ৪০ হাজার তুর্কি লিরা খরচ হবে। ইস্তাম্বুলে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা চাঁদা তুলে এ খরচ বহন করছেন বলে জানিয়েছেন বাদল নামে এক প্রবাসী।