ভারতে সব সন্ত্রাসী হামলার দায় চাপানো হয় মুসলমানদের ওপর: কবীর সুমন
ভারতের জনগণের ওপর নানান সময়ে যেসব আক্রমণ হয়েছে তার প্রতিটিতেই মুসলমানদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের নন্দিত গায়ক কবীর সুমন। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই হামলার দায়ে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকরের পর ফেসবুকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মেমনের ফাঁসি কার্যকরের পর পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে দেশটির মানুষ। আর তেমনই একটি মন্তব্যকে ভিত্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে কবীর সুমন হওয়া আধুনিক বাংলা গানের এই ভিন্নধারার এই পথিকৃত।
ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অকৃত্রিম বন্ধু হেমন্ত করকরের বরাতে কবীর সুমন লিখেছেন ‘প্রায় প্রতিটি আক্রমণেই দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন দায়ী ছিল অথচ তাদের কারো সাজা হয়নি।’ এমনকি গুজরাট গণহত্যার নায়করা এখন দেশ চালাচ্ছেন বলে ক্ষোভ জানান তিনি। আমান খান নামে যে মানুষটির পোস্ট ধরে সুমন এ লেখাটি লিখেছেন তাতে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন হামলায় জামিন পেয়ে যাওয়া হিন্দু নেতাদের মত ইয়াকুব মেমনকে লাউঞ্জে বসে থাকতে হবে না, বরং ইয়াকুব মেমন বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
প্রসঙ্গত, কেবল মুসলমান নয়, যেকোনো সংখ্যালঘু প্রশ্নেই সরব এই প্রতিবাদী শিল্পী। সুমনের দেয়া সেই পোস্টটি প্রিয় পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হল-
মাননীয় সহনাগরিকবৃন্দ!
আপনারা আমায় যে যা খুশি বলতে পারেন। মাননীয় রাষ্ট্র, আমায় গ্রেফতার করে যে কোনও সাজা দিতে পারেন। কিন্তু তাও আমি আমাদেরই এক সহনাগরিকের ফেসবুকে করা এই উক্তি কপি পেস্ট করে দিচ্ছি। আমার হৃদয়ে ইয়াকুব মেমন সেভাবে থাকবেন না। যদিও, একটু আগেই ইন্টারনেটে তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু পড়লাম। তিনি চার্টার্ড একাউন্টান্ট ছিলেন। জেলে বসে ইংরিজি ও পলিটিকাল সায়েন্স বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। জেলের সহ-কয়েদীদের অনেককে তিনি ইংরিজি ও অঙ্ক শিখিয়েছেন। – তার মানে কি তিনি ভালো লোক? তা বলছি না। আমি কিছু তথ্য দিচ্ছি মাত্র, যা আমি নিজেও জানতাম না।
ভারতেরই জনগণের ওপর আরও নানান আক্রমণ হয়েছে নানান সময়ে। প্রতিটি আক্রমণেই চেষ্টা হয়েছে মুসলমানদের ওপর দোষ চাপানোর। মহামতি হেমন্ত করকরের একনিষ্ঠতায় আমরা জানতে পেরেছি যে প্রায় প্রতিটি আক্রমণেই দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন দায়ি। তিনি হাতে নাতে প্রমাণ দিয়েছিলেন। হেমন্ত করকরে খুন হন। কী করে হলেন তার গল্পটা আজও স্পষ্ট হলো না।
মালেগাঁও সমেত আরও নানান হিংসাত্মক হামলার দোষীরা কিন্তু বেঁচে আছেন। গুজরাত গণহত্যার নায়করা চালাচ্ছেন দেশ।
একবারও ভাববেন না যে আমি ইসলাম ধর্ম নিয়েছি বলে এই কথাগুলো বলছি। এগুলো অনেকেরই মনের কথা – এবং তাঁদের মধ্যে হিন্দুনামধারীরাও আছেন। সত্যি বলতে, ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অকৃত্রিম বন্ধু গত তিরিশ চল্লিশ বছরে সম্ভবত একজনই ছিলেন: হেমন্ত করকরে। সেকুলার ভারতবাসীদেরও অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন তিনি। এ-দেশের সংখ্যালঘুরা আজও বছরের একটা দিন হেমন্ত করকরে দিবস পালন করে উঠতে পারলেন না – কী বলব। আমি নিজে দুটি সংস্থাকে বলেছি। এখন পর্যন্ত কোনও ফল দেখতে পাইনি। অথচ, কলকাতায় অন্তত সকলে মিলে (সব সম্প্রদায়ের মানুষ এবং নাস্তিকরাও) বছরে একটি দিন হেমন্ত করকরে দিবস পালন করা দরকার। ভারতে কোথাও হয়েছে বলে শুনিনি। অন্তত তাঁর অবদান সম্পর্কে সকলকে জানানো দরকার। তাঁর ছবি টাঙানো দরকার। হেমন্ত করকরে, মহামতি হেমন্ত করকরের মৃত্যুর পর ভারত সরকার তাঁর স্ত্রীকে অনেক কিছু দিতে চেয়েছিলেন। তিনি কিছুই নেননি। কিছুকাল আগে তিনি মারা যান। যদি তিনি দেখে যেতে পারতেন সারা দেশে না-হোক কোথাও একটা তাঁর দেশপ্রেমী, কর্মনিষ্ঠ, সৎ স্বামীকে স্মরণ করছে তাঁর দেশবাসীরা?
উপস্থিত অবস্থায় আমাদেরই এক সহনাগরিক হিন্দিতে একটা পোস্ট দিয়েছেন। আমি তা কপি পেস্ট করলাম। তাঁকে কি পাকিস্তানের দালাল বলবেন? তাহলে তো আমিও তাই।
প্রাণপণ আশা করছি – দুম্ করে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোবেন না – আমাদের দেশের দোহাই। এই ব্যক্তির সঙ্গে সহমত হওয়ারও দরকার নেই। একটু শুধু ভেবে দেখা যাক। এটাও একটা মত।
Amaan Khan अगर याक़ूब मेमन को फांसी हुई तो वह ज़िदा रहेगा हमारे दिलों में अगर न हुई तो जैसे जेल में था वैसे ही रहेगा।माया कोडनानी या असीमानंद की तरह बारर मौज करने नहीं आ पाएगा।
आप लोगों के दिलों में अटल, अडवाणी और मोदी बस सकते हैं मानवता के विरूद्ध अपराध करके तो हमारे दिलों में याक़ूब मेमन क्यों नहीं।