আর্থিক সংকটে লন্ডনের কয়েকটি হাসপাতাল
মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছে সাউথ লন্ডনের সেন্ট জর্জেস ইউনির্ভাসিটি হাসপাতাল এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। এ হাসপাতালটিকে চলতি বছর প্রায় ৪৬ মিলিয়ন পাউন্ড ঘাটতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রাইভেট রেগুলেটরি নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু সেন্ট জর্জেস নয় সাউথ লন্ডনের আরো কয়েকটি হসপিটালও আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যে আছে।
এনএইচএসের তদারকি সংস্থা ওয়াচডগ জানিয়েছে, সেন্ট জর্জেস ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালের ফ্রন্ট লাইন সার্ভিস এবং রোগিদের ট্রিটমেন্টে কোনো কমতি নেই। তবে সমস্যা হচ্ছে হিসাবের খাতা নিয়ে। গত বছর এ হাসপাতালের ঋণ ছিলো প্রায় ২০ মিলিয়ন পাউন্ড। চলতি বছর ঋণের পরিমাণ দ্বিগুন হতে পারে বলে আশংকা করছে ওয়াচডগ। যদিও ব্যয় কমিয়ে ঋণের বোঝা কমাতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রাইভেট এডভাইসার নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্ট জর্জেস ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চীফ এক্সিকিউটিভ। আগামী এক বছরের ভেতরে এ হাসপাতালটি প্রায় ৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থ সঞ্চয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলেও জানান তিনি।
যদিও আর্থিক ঘাটতির দিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেন্ট জর্জেস। চলতি বছর প্রায় ৪৬ পাউন্ড ঘাটতি দিতে হবে এ হাসপাতালকে। এ তালিকার প্রথমে রয়েছে সাউথ লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতাল। এ বছর প্রায় ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড ঘাটতি দিতে হবে কিংস কলেজকে। সাউথ ওয়েস্ট লন্ডনের অপর হাসপাতাল কিংসটনকে ৮ দশমিক ৮ মিরিয়ন পাউন্ড ঘাটতি গুণতে হবে চলতি বছর।
পার্লামেন্ট হাউস থেকে মাত্র ২শ ইয়ার্ড দূরে প্রায় ৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িতে বসবাস করে প্রতি দিন প্রায় ৩ শ পাউন্ড এলাউন্স ক্লেইম করেছেন হাউস অব লর্ডের টোরি পার্টির এক সদস্য। লর্ড ব্যারোনেস উইলকক্স হাউস অব লর্ডসে সর্বমোট ৭শ ৮৩ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে গত বছর গড়ে প্রতিদিন ৪শ ৮৩ উপস্থিত হন/ নতুন আইন অনুযায়ী মাত্র ৩০ জন অবসরে যাবেন।