পবিত্র কাবা শরীফের গিলাফ জাতিসংঘ অফিসে সংরক্ষণ
পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ ‘কিসওয়া’র কিছু অংশ জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সৌদি সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, বিশেষ ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন সংস্থাকে পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ উপহার হিসেবে প্রেরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ অফিসে ১৯৮৩ সালে পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফের ওই অংশটুকু উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছিল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সৌদি আরবের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ বিন ইয়াহিয়া আল মুয়াল্লেমি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে পবিত্র কাবা ঘরের এ গিলাফটি প্রতিস্থাপন করা হয়। গিলাফটি জাতিসংঘের সদর দফতরে ইন্দোনেশীয় লাউঞ্জে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। গিলাফ প্রতিস্থাপন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সৌদি আরবের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ বিন ইয়াহিয়া আল মুয়াল্লেমি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ১৯৮৩ সালে বাদশাহ ফুয়াদ পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফের এই অংশটুকু উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।
জাতিসংঘে প্রেরিত গিলাফটুকু কাবা ঘরের পূর্ব অংশের কিছু স্থান। কাবার এ গিলাফের ওপর স্বর্ণ দ্বারা পবিত্র কোরআনে কারিমের বিভিন্ন আয়াত লেখা রয়েছে।
জাতিসংঘের সৌদি আরবের প্রতিনিধি আরও বলেন, ২০১৪ সালে জাতিসংঘের সচিবলায় পুননির্মাণের সময় কাবা শরিফের গিলাফের অংশটুকু মক্কায় অবস্থিত কাবার গিলাফ নির্মাণের কারখানায় প্রেরণ করা হয়। যেন তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। অবাক করার কথা হলো, কারখানার প্রকৌশলীরা তা আগের রূপে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
কাবা শরিফের গিলাফ প্রতিস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের প্রতিনিধিবর্গ এবং জাতিসংঘের অন্তর্গত বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কাবা শরিফের এই গিলাফটি জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ হলে প্রতিস্থাপন করতে পেরে সৌদি প্রতিনিধি আবদুল্লাহ বিন ইয়াহিয়া আল মুয়াল্লেমি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।