টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সনদে ১৯৩ রাষ্ট্রের একাত্মতা

Ban kiআগামী ১৫ বছরের জন্য একটি সাহসী, স্বপ্ন বিলাসী ও স্বচ্ছ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় একাত্মতা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্র। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সম্মেলনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সোমবার রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ‘ট্রান্সফর্মিং আওয়ার ওয়ার্ল্ড: দি ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইনঅ্যাবল ডেভলপম্যান্ট’ সনদে ঐক্যমতে পৌঁছায়। এটি মিলিনিয়াম ডেভলাপমেন্ট গোল এর একটি বর্ধিত পরিকল্পনা, যা ২০১৫ সাল পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল। এমডিজিতে ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য  গ্রহণ করা হয়েছিল।
সদস্য রাষ্ট্রসমূহের ঐতিহাসিক সমঝোতার পর নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি মুন। তিনি বলেন, সব দেশই মানবতাবাদের পক্ষে কথা বলেছে, যাতে করে সব নারী, পুরুষ ও শিশু ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্য থেকে মুক্তি লাভ করে। তারা সব নাগরিকদের প্রতি আরো যত্নবান হওয়া, পরিবেশ ও জলবায়ু ইস্যুতেও যত্নবান হবার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
মুন বলেন, আমরা এর আগেও অনেক বড় বড় সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি তবে এখন তা বাস্তবে রুপ দেবার জন্য কাজ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব সাধারণ অধিবেশন সভাপতি সাম কুটেসা, সিভিল সোসাইটি, প্রাইভেট সোসাইটি, একাডেমিশিয়ান, সাংসদ ও অন্যান্যদের যারা জাতিসংঘের ভিশনকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য স্বাগত জানান। এই প্রথম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বিভিন্ন দেশের সরকার প্রতিনিধি ছাড়াও অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিনিধিদেরও অংশগ্রহণ ছিল।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ডেভলাপমেন্ট প্ল্যানিং উপদেষ্টা আমিনা মোহাম্মদ, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফর ইকোনমিক এন্ড  সোশাল অ্যাফেয়ার্স উই হংবু, কো ফ্যাসিলেটরস অব দ্যা নেগোসিয়েশনস অ্যামবাসেডর ডেভিড ডনুগুই ও ম্যাকারিয়া কামাউ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী।
জাতিসংঘ মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন, এ লক্ষ্যমাত্র সত্যিকার অর্থে জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা। পৃথিবী ও তার মানুষের জন্য এটা অবশ্য করণীয় লক্ষ্য।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে মানুষ ও পৃথিবীকে কেন্দ্র করে। বিভিন্ন পার্থক্য ও দূরত্ব থাকা স্বত্ত্বেও আমরা এ বিশ্বজনীন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।
মুন বলেন, পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণে আমরাই হতে পারি প্রথম প্রজন্ম। আর পরবর্তী প্রজন্ম দেরী হবার আগেই বিশ্বায়ন উষ্ণতা মোকাবেলায় কাজ করবে। তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে সপ্তাহের শেষে বড় অগ্রগতি লাভ করেছে তাদের সমঝোতার মাধ্যমে। এখন আমাদের এ চুক্তিকে অবশ্যই বাস্তবে রুপ দিতে হবে।
অপরদিকে এক বিবৃতিতে সাধারণ অধিবেশন সভাপতি সাম কুটেসা সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নতুন ইতিহাস রচনা করবে। আগামী ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব নেতাদের সম্মেলনে নতুন এ লক্ষ্যমাত্রা আরো গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button