৪০০০ সিরীয় শরণার্থীকে খাওয়ালেন নবদম্পতি
বিয়ের অনুষ্ঠানে ৪০০০ সিরীয় শরণার্থীকে খাইয়ে এবং তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে মহানুভবতার নজির স্থাপন করলেন এক তুর্কি নবদম্পতি। সিরীয় সীমান্ত সংলগ্ন তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কিলিসে গত বৃহস্পতিবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফেতুল্লাহ উজুমকগলু এবং এসরা পোলাত।
সিরিয়ায় চার বছর আগে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটির প্রায় ২০ লাখ মানুষ তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। তুরস্কই সবচেয়ে বেশি সিরীয় শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের পেছনে ৬০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৪৫,০০০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
কিলিস শহরে প্রায় ৪,০০০ সিরীয় শরনার্থী রয়েছে। তুর্কি সংগঠন কিমসে ইয়োক মু (কেই আছে কি) নামের একটি দাতব্য সংস্থা তাদের খাবার সরবরাহ করছে।
বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে অসহায় শরনার্থীদের সাথে বিয়ের খুশি ভাগাভাগি করে নেয়ার এই ধারণাটি বরের বাবা আলি উজুমকগলুর। তিনি সেরাত কিলিস সংবাদপত্রকে বলেন, তার আশা অন্যরাও এই নবদম্পতির পথ অনসুরণ করে ‘সিরীয় ভাইবোনদের’ সাথে তাদের বিয়ের খুশি ভাগাভাগি করে নেবেন। তিনি বলেন, সিরীয় ভাইবোনদের সাথে বিয়ের এই আয়োজনের নৈশভোজ ছিল দারুণ।
বরের বাবা বলেন, নবদম্পতি এভাবে নিঃস্বার্থভাবে তাদের নতুন জীবন শুরু করলেন। বিয়েতে বর-কনে নিজেরাও শরনার্থীদের খাবার সরবরাহ কাজে নিয়োজিত হন।
কিমসে ইয়োক মু’র মুখপাত্র হাতিস আবসি বলেন, বর-কনে তাদের পরিবারের কাছ থেকে যে অর্থ পেয়েছিলেন তা দিয়ে শহরে আশ্রয় নেয়া সিরীয় শরনার্থীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেন।
কনে পোলাত বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের বিয়ের খানাপিনা তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছি-যাদের এটা খুবই দরকার।’
বর উজুমকগলু বলেন, ‘সিরীয় শিশুদের চোখে আনন্দ দেখতে পারাটা ছিল মহামূল্যের আনন্দের। আমরা অন্যকে সুখী করে নিজেরা সুখী হওয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলাম। এটা তো দারুণ ব্যাপার।’