টেলিফোন শিল্প সংস্থার দায়িত্ব পাচ্ছেন মোস্তাফা জব্বার
টেলিফোন শিল্প সংস্থার(টেসিস) দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারকে। বৃহস্পতিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় দেশীয় মানসম্মত ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করা ও রপ্তানির নতুন লক্ষ্য নিয়ে সংস্থাটির দায়িত্ব এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোস্তাফা জব্বারকে এই দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশ দেন। মানসম্মত দেশীয় প্রযুক্তি পণ্য তৈরি ও রপ্তানির পাশাপাশি দেশের ৪ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে দিতেও টেসিসের প্রতি নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের চামেলী হলে দ্বিতীয় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে টাস্কফোর্স সদস্য মোস্তাফা জব্বার ইত্তেফাককে জানান, স্বার্থক একটি মিটিং হয়েছে। ৯ টা এজেন্ডা ছিল মিটিংয়ে। এর মধ্যে আমাকে টেসিসের দ্বায়িত্ব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বই নয়, দেশের ছেলেমেয়েরা ল্যাপটপ-ট্যাবলেট নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে এমন চিত্র দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী। আমি এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো।
মোস্তাফা জব্বার আরো জানান, ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে কাজ করতে চাই। টেসিসের দ্বায়িত্ব নিয়ে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপ বানাতে চাই। দেশকে ডিজিটাল করতে হলে সবার হাতে সহজমূল্যে ডিজিটাল ডিভাইস নিশ্চিত করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরো জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে টেসিসের দায়িত্ব মোস্তাফা জব্বারকে দেয়া হলো বলো উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তৃতা করেন।
সভায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সাফল্য, গৃহীত কর্মকান্ড ও পরিকল্পনা ভিত্তিক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্যসচিব ও আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। সভায় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালযের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মতলুব আহমেদ, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারনুনুর রশীদ, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’র এমডি হোসনে আরা বেগম, আইসিটি অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক জসিম উদ্দিন আহমেদ, বিটিসিএল এমডি জি ফখরুদ্দিন চৌধুরী, এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, বেসিস প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান, বিসিএস প্রেসিডেন্ট এএইচএম মাহফুজুল আরিফ এটুআই’র জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।