গ্রিসের দ্বীপে দুই শতাধিক বাংলাদেশি আটকা
গ্রিসের কুস দ্বীপে দুই শতাধিক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী আটকা রয়েছেন। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই দ্বীপে আটকে পড়ে আছেন তারা।
জানা গেছে, তুর্কি থেকে অবৈধ পথে গ্রিসে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের কয়কশ অভিবাসী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ঢুকতে না পারায় কুস দ্বীপে অবস্থান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
ওই দ্বীপে আটকে পড়াদের মধ্যে নরসিংদীর রফিকুল ইসলাম নয়ন ও কুমিল্লার দেবিদ্বারের রাকিব খান নামে দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে তারা দালালের মাধ্যমে প্রথমে বদরুম শহরে আসেন। সেখান থেকে ওই দালালরা একটি মোটর লাগানো হাওয়ার নৌকায় তুলে সঙ্গে একটি বৈঠা দিয়ে দেয়। ওই নৌকায় করে অনেক কষ্টে গ্রিসের কুস দ্বীপে এসে প্রায় ২শ’ বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী আটকা পড়ে রয়েছেন।
ওই দুই যুবক আরো জানান, এখানে স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে এক মাসের জন্য একটা স্টে-পেপার পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সেটাও দিচ্ছে না। তাই আমরা দেশে আসতে চাইলেও পারছি না। আর আমাদের প্রত্যেকের কাছে একশ’ থেকে দেড়শ’ ইউরো ছিল, এখন তাও শেষ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নয়নের আত্মীয় ফিরোজ মিয়া সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসে ফোন করলে এক নারী কর্মকর্তা জানান, অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনা আমাদের কাজ নয়। আপনারা গ্রিসের বাঙালি কমিউনিটিতে যোগাযোগ করতে পারেন।
তবে এ বিষয়ে দূতাবাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ছুটির দিন থাকায় তা সম্ভব হয়নি। কুস দ্বীপে আটকে পড়া বাংলাদেশি অভিবাসীরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে জীবন বাঁচানোর দাবি জানিয়েছেন।