অভিবাসী সঙ্কটে গ্রিস
সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং বিশ্বের অন্যান্য যুদ্ধাঞ্চল থেকে আসা শরণার্থীর ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গ্রিস।
সাহায্যের জন্য ইউরোপের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। ঋণ জর্জরিত গ্রিস একা এ সঙ্কট সামাল দিতে পারছে না বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তিনি।
গ্রিক দ্বীপ কোস, হিয়োস এবং লিসবোস-এ শরণার্থী সঙ্কটে ‘পুরোপুরি বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
সংগঠকরা বলছেন, কেবল জুলাই মাসেই গ্রিসে পৌঁছেছে প্রায় ৫০ হাজার অভিবাসী।
অর্থনৈতিক পতন ঠেকাতে ঋণদাতাদের সঙ্গে গ্রিক সরকারের নতুন ঋণচুক্তি নিয়ে আলোচনা এবং দেশটির নাগরিকদের কঠোর ব্যয় সঙ্কোচনের মধ্যে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার মধ্যে শরণার্থীর এ ঢল বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।
প্রতিদিন অসংখ্য শরণার্থী এসে ভিড় করায় গ্রিসে অথনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে মানবিক সঙ্কট। ফলে নিরুপায় হয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তা চেয়েছে গ্রিস।
ইইউ গ্রিসের অর্থনৈতিক দিকটিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কিন্তু মানবিক দিকটিতে তারা ইতিবাচক সাড়া দেবে এমনটিই আশা করেন বলে জানিয়েছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস।
ইউএনএইচসিআর গ্রিসকে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপগুলোতে অভিবাসী সঙ্কট সামাল দেয়ার আহ্বান জানানোর পর সিপ্রাস ইইউ’র কাছে এ সহায়তা চাইলেন।
ইউরোপে ইউএনএইচসিআর এর পরিচালক ভিনসেন্ট কোসেয়ল বলেছেন, প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার শরণার্থী এ বছর সমুদ্রপথে গ্রিসে পৌঁছেছে। এদের অনেকেই এসেছে তুরস্ক হয়ে। অসহনীয় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে তারা।