লরি থেকে ১৮ জন অবৈধ অভিবাসী আটক
অবৈধ মাইগ্র্যান্ট প্রায় প্রতিদিনই ইউকের সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে। ইউকের ডোবার সীমান্তের ওপর প্রান্ত ফ্রান্স সীমান্তের ক্যালেতে প্রায় কয়েকশ মাইগ্র্যান্ট ইউকেতে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। চ্যানেল টানেল টার্মিনাল হয়ে তারা ইউকেতে প্রবেশের চেষ্টা করে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামের জন্ম দিচ্ছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার সুদানের এক মাইগ্র্যান্ট প্রায় চ্যানেল টানেলের প্রায় ৩১ মাইল পথ পায়ে হেটে টানেলের ইউকে সাইডের ফকস্টোন এক্সিটের কাছাকাছি চলে আসেন। প্রায় ১১ ঘন্টা তিনি টানেলের ভেতরে ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে মাইগ্র্যান্টদের আটকাতে ফার ডগ এবং বেশি করে ফ্যান্স লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যেই ৪০ বছর বয়সী সুদানী নাগরিক সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পায়ে হেটে টানেল পাড়ি দিয়েছেন। টানেলের রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটনারো অভিযোগে তাকে ২৪ আগষ্ট ক্যান্টাবারি আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার কিছু মাইগ্র্যান্ট চ্যানেল টানেলের একটি ভবনের সিকিউরিটি ডোর খুলে ফেলতে সক্ষম হন। তারা ধারণার উপর ভর করে একের পর এক কোড নাম্বার মেরে এক সময় সফল হয়ে যান। ক্যালের মাইগ্র্যান্টদের নিয়ে এ হযবরল অবস্থার মাঝেই শনিবার রাতে মটরওয়ে এম ওয়ানে একটি লরির ভেতর থেকে ১৮ জন অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে আটক করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে হার্টফোর্ডশায়ার এলাকায় মটরওয়ে এম টোয়ান্টি ফাইভে একটি লরিতে সন্দেহভাজন মাইগ্র্যান্ট আছেন বলে ধারণা করে একপথচারি পুলিশকে খবর দেন। এরপর এম ওয়ানে জংশন নাইনের কাছে লরিটি আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় লরির ভেতরে লোকানো অবস্থায় ১৮ জন ইমিগ্র্যান্ট উদ্ধার করা হয়। তারা অবৈধভাবে ইউকেতে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪০ বছর বয়সী পোলিশ লরি ড্রাইভারকে আটক করেছে পুলিশ। এ ড্রাইভারের কারসাজির মাধ্যমে এসব মাইগ্র্যান্ট লরিতে লুকিয়ে টানেল পাড়ি দিয়েছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে ওই লরি ড্রাইভারের সংশ্লিষ্টতা প্রমানিত হলে তাকে ৩৬ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী কোনো লরিতে একজন ইলিগ্যাল ইমিগ্র্যান্ট পাওয়া গেলে ওই লরি ড্রাইভারকে ২ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য এর আগে গত জুন মাসে হারুইচ এলাকা থেকে ৬৮ জন ইলিগ্যাল ইমিগ্র্যান্ট আটক করা হয়। যারা পোলান্ড থেকে কয়েকটি লরিতে লুকিয়ে অবৈধভাবে ইউকেতে প্রবেশ করেন।