সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগ ৬ মাস পেছালো
সৌদি আরবে অন্তত ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ ৬ মাস পিছিয়ে গেছে। কেননা, সৌদি আরব পুরুষ কর্মীদের চেয়ে নারীকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আরসিসিআই) একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আরব নিউজ এ খবর দিয়েছে।
আরসিসিআই-এর নিয়োগ কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান মিশারি আল-থুফাইরি বলেন, দু’দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও নিয়োগের প্রক্রিয়া খুবই মন্থর গতিতে চলছে।
কেননা, নারী গৃহকর্মীদের চেয়ে পুরুষ কর্মীদের পাঠাতেই বাংলাদেশের আগ্রহ বেশি।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা তাদের শ্রমিক চাই, তখনই আমাদের বলা হয় পুরুষ কর্মী বা গাড়ি চালক নিতে। আমাদের এজেন্টরা এখন পর্যন্ত অন্তত ৫ হাজার নারী গৃহকর্মীর জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই।’
তিনি আরো জানান, রিক্রুটমেন্ট কমিটি ও বাংলাদেশের এজেন্টরা বলছে, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদেরকে পুরুষকর্মী নিতে বাধ্য করছে। যদিও দেশটিতে বহু নারীশ্রমিক সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করতে চায়।
আল-থুফারি জানান, বিভিন্ন দেশ নানা কারণে নারীশ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তার মতে, অনেক সময় গৃহকর্মীরা সৌদি আরবে পৌঁছালে অন্তত ছয় মাস লাগে বেতন পেতে।
তিনি বলেন, সৌদি পরিবারগুলোর উচিত শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো। যদি এ সমস্যাগুলো ঠিকঠাকভাবে মোকাবেলা করা না হয়, তাহলে গৃহকর্মীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অসুবিধার কারণ হয়েই থাকবে।