লন্ডনে খালেদাকে প্রতিহতের ঘোষণা আ. লীগের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেইনের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের উস্কারিদাতা কুখ্যাত আগুনসন্ত্রাসী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে আগমন করছেন। আমরা তার যুক্তরাজ্য আগমনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধে নাশকতায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানির জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়া একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা করে ২২ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত ছিলেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে খালেদা জিয়া বারবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তিনি নির্বাচনে যাননি।
সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াও অন্য কাঠামোর সরকারের অধীনে তিনি এবং তার দল বিএনপি নির্বাচনে যেতে রাজি আছেন। এই প্রস্তাব তো ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে ছিল। তাহলে এত মানুষ হত্যা করে, পুড়িয়ে খালেদা জিয়া কোন রাজনীতি করলেন?
যুক্তরাজ্যে খালেদা জিয়াকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের মাটিতে খালেদা জিয়ার সফর সুখকর হবে না। প্রবাসী বাঙালিরা তাকে যুক্তরাজ্যে প্রতিহতের মাধ্যমে প্রমাণ করবে এই ব্রিটেন কোন সন্ত্রাসীকে স্বাগত জানায় না। যেখানেই খালেদা, সেখানেই তাকে প্রতিহত করা হবে।
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য ‘শিগগিরই’ যুক্তরাজ্য আসছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২১ অগাস্ট মামলায় হুলিয়া নিয়ে গত সাত বছর ধরে লন্ডনে আছেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভপাতি সুলতান মাহমুদ শরীফ সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
অন্যান্যদের মধ্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন শামসুদ্দিন আহমদ, এম এ রহিম, যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, মারুফ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ, প্রবাস কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুরুক মিয়া, জনসংযোগ সম্পাদক রবিন পাল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমদ চৌধুরী, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফিক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হেলাল চৌধুরী সেলিম, মানবাধিকার সম্পাদক সায়েক আহমেদ, যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, আওয়ামী আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মহি উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।