নতুন অভিযানে প্রিন্স হ্যারি
দীর্ঘ আফগানিস্তান সফর ও ১০ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পর প্রিন্স হ্যারি কিছুদিন একটু আরামের জীবন কাটাবেন, এমনটা যারা ভেবেছিলেন তারা ভুল করেছেন। আবারো বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছেন রাজপুত্র। এবার তিনি সামিল এক অন্য যুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ প্রিন্স হ্যারি।
হাজার হাজার বিরল প্রাণীসমৃদ্ধ ক্রগার ন্যাশনাল পার্ক। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণ্ডার রয়েছে এই জঙ্গলে। খবর মিলেছে, এই জাতীয় উদ্যানেই প্রতি রাতে হানা দিচ্ছে মোজাম্বিকের ৪০ জন চোরাশিকারী। তাদের হাতে থাকছে উন্নত প্রযুক্তির রাইফেল ও সাইলেন্সর। বড় বড় অপরাধ চক্র অর্থ জোগাচ্ছে এদের। তারাই আবার শিকার করা জন্তু-জানোয়ারদের শিং, শুঁড় বা শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচার করছে এশিয়ায়। কিছু মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, সেসব বস্তু ওষুধপত্র তৈরিতে বিশেষ উপযোগী। তাই বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। এ বছরই ৫৫৮ গণ্ডার মেরেছে চোরাশিকারীরা।
চোরাশিকারীদের উৎপাত মোকাবিলায় ৫৫০ জন সেনা, পুলিশ ও বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়েছে। সেই ফোর্সেই তিন মাস ভলান্টিয়্যার করবেন প্রিন্স হ্যারি। বিষয়টি পাঁচ কান না করে গত সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকা মিলিটারি বেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। এ ধরনের ভয়ানক ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষণ রয়েছে প্রিন্স হ্যারির। গণ্ডারের শিং উদ্ধারে সরকারকে সহযোগিতা করতে নামিবিয়ায় ছয় সপ্তাহ কাটিয়েছেন তিনি।
এই অভিযানে তারা নিয়ে গিয়েছেন দুটি নজরদারি বিমান, দুটি ড্রোন ও একটি গ্যাজেল হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারটিতে থাকছে থার্মাল সেন্সর, যার মাধ্যমে সহজেই ট্র্যাক করা হচ্ছে চোরাশিকারীদের। হেলিকপ্টার অবতরণ করিয়ে, চোরাশিকারীদের পিছু নিচ্ছে টাস্ক ফোর্স। কখনো কখনো শুট-আউটও চলছে। এ পর্যন্ত তিন শ’ জন চোরাশিকারীর মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযানে রাজপুত্রকে নিরাপদে রাখতে বিশেষ তৎপর টাস্কফোর্সের প্রধান।