মিশরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ
মিশর সরকার স্কুলে শিশু-কিশোরীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী মোহেব আল-রেফাই বলেছেন, স্কুলে মেয়েদের আর হিজাব পরতে দেয়া হবে না। মিশরের বেসরকারি টিভি ড্রিম-টুতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, মেয়েরা সাবালিকা হওয়ার আগ পর্যন্ত হিজাব পরা ইসলামে জরুরি নয়। কাজেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাব পরার দরকার নেই। তবে কত বয়স থেকে হিজাব পরার অনুমতি দেয়া হবে তা স্পষ্ট করেননি শিক্ষামন্ত্রী।
হিজাব ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হিজাব পরতে অভ্যস্ত করাতে বহু অভিভাবক শিশুকাল থেকেই সন্তানদের মুখঢাকার এই আবরণ পরিয়ে থাকেন।
তবে মিশরের বর্তমান স্বৈরাচার সরকার দেশকে সেক্যুলার ভাবধারায় নিয়ে যেতে বহু পদক্ষেপ নিচ্ছে যাকে ইসলামবিরোধী বলেই অনেকে মন্তব্য করেছেন। এই সরকার বহু মসজিদও বন্ধ করে দিয়েছে।
১৯৯৪ সালেও মিশর সরকার একবার ১২ বছরের নীচের শিশুদের স্কুলে হিজাব পরার নিষিদ্ধ করেছিল। সেটাকে ইসলামবিরোধী বলে তীব্র সমালোচনা করা হয়। পরে ১৯৯৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট হিজাব নিষিদ্ধ করার নির্দেশকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়।
শিশুদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক কিনা সেই বিতর্ককে কাজে লাগিয়ে সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করলে মৌলিক যে প্রশ্নটি ওঠে তাহলো কেউ স্বেচ্ছায় হিজাব পরতে চাইলে, তা যে বয়সেই হোক না কেন, রাষ্ট্র কি তা নিষিদ্ধ করতে পারে?
মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা পশ্চিমা কিছু দেশ এ ধরনের আইন করলেও মিশরের মত মুসলিমপ্রধান দেশে এমন কোনো নির্দেশ সরকার দিতে পারে কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে সংগতভাবেই।
তবে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আহরাম পত্রিকা জানায়, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরুর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, হিজাব নিষিদ্ধ করার খবর ভিত্তিহীন।