সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা লতিফ সিদ্দিকীর
সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন বরখাস্ত হওয়া মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে সোমবার সকালে তার এমপি পদে থাকার বৈধতা নিয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। শুনানিতে আমি বলেছি যে সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। তাই শুনানির আর দরকার নাই, গণমাধ্যমের কাছে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে শুনানির জন্য আইনজীবীদের নিয়ে লতিফ সিদ্দিকী সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইসিতে হাজির হন। এর পরপরই হাজির হন সৈয়দ আশরাফের আইনজীবীরা।
এদিকে সকালেই শুনানি আয়োজনে ইসির এখতিয়ার না থাকার বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। এতে তার সংসদ সদস্যপদ নিয়ে শুনানিতে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার রায়ই চূড়ান্ত হয়। এ রায়ে লতিফ সিদ্দিকীর ভাগ্য নির্ধারণে সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব দেওয়ার পর তার আইনজীবীরা জানান, তারা শুনানিতে যাচ্ছেন।
গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এতে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সে মোতাবেক বিরোধটি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া হাতে নেয় ইসি। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে দুই পক্ষকেই শুনানির সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই তাদের শুনানি হবে। আইন অনুযায়ী, বিরোধ উত্থাপনকারী ও যার বিরুদ্ধে বিরোধ উত্থাপন হয়েছে, উভয় পক্ষই শুনানিতে সাক্ষ্য উপস্থাপন ও জেরা করার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া তারা ব্যক্তিগতভাবে অথবা অ্যাডভোকেট প্রতিনিধির মাধ্যমে ইসির সামনে উপস্থিত থাকার অধিকার পাবেন।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় সরকার। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরো পরে তার প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করে আওয়ামী লীগ। আর সবশেষ তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।